Rahul-Priyanka: ছেলে নিয়ে একফ্রেমে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা! পাপারাৎজিদের কাছে যে আবদার রাখল সহজের বাবা

একটি পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হল ভিডিয়ো। যাতে দেখা গেল, সপ্তমীর রাতে ৩ জন একসঙ্গে।

কিছু জুটি এমন তৈরি হয়ে যায়, যা দর্শকের মনের মণিকোঠায় থেকে যায় সারাজীবন। যেমন রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রিয়াঙ্কা সরকার। ‘চিরদিনই তুমি ষে আমার’ সিনেমার পর সেভাবে একসঙ্গে হিট দিতে পারেননি। রাহুলকে সিনেমার নায়ক হিসেবেও দেখা যায় না আজকাল। যদিও নায়িকা হিসেবে প্রিয়াঙ্কা সরকারের করিশ্মা আজও অটুট। সঙ্গে অটুট রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জুটির প্রতি লোকের ভালোবাসা।

একটি পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হল ভিডিয়ো। যাতে দেখা গেল, সপ্তমীর রাতে ৩ জন একসঙ্গে। কোনো এক পুজো উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তাঁরা সপরিবারে। ভিডিয়ো শেয়ার করে ক্যাপশন দেওয়া হল, ‘পুজো মানেই পরিবারের সাথে সময় কাটানো ...রাহুল , প্রিয়াঙ্কা, সহজের পুজোর মুহূর্ত’। তাতে এক নেটিজেন মন্তব্য করলেন, ‘ওদের একসঙ্গে একফ্রেমে দেখে খুব ভালো লাগছে’।

হালকা বেগুনি রঙের সালোয়ার স্যুটে দেখা গেল প্রিয়াঙ্কাকে। আর রাহুল ও সহজের গায়ে ছিল পাঞ্জাবি। ভিডিয়োতে থাকা গেল, পাপারাৎজিদের জন্য পোজ দেওয়ার সময়, রাহুল আবদার করেন, তাঁকে যেন ভিডিয়ো-ছবি পাঠানো হয়।

রাহুল কিন্তু মাঝেমধ্যেই স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে তোলা সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করে নেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যাতে থাকে মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো ক্যাপশন। যা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, নিজেদের সম্পর্ককে নতুন করে সাজাতে একান্ত প্রচেষ্টায় দুজনে। 

২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন রাহুল আর প্রিয়াঙ্কা। তারপর জন্ম হয় ছেলে সহজের। কিন্তু ছাদ আলাদা হয় ২০১৭ সালে। রূপকথার সফরে নেমে আসে কালো অধ্যায়। বিচ্ছেদের ঘোষণা করেন তাঁরা। প্রায় ৬ বছর ধরে আদালতে চলছিল ডিভোর্সের মামলা। তবে করোনা আর লকডাউনের সময়ে ফের কাছাকাছি আসেন। ছেলে সহজই অনুঘটকের কাজটা করেছে। সন্তানের কথা মাথায় রেখেই সম্পর্ককে ‘সহজ’ করে নিয়েছিলেন। ২০২২ সাল থেকে রাহুল একাধিকবার ৩জনের ছবি শেয়ার করেন সামাজিক মাধ্যমে। আর এরপর ২০২৩ সালের শুরুতেই জানতে পারা যায়, আদালত থেকে ডিভোর্সের মামলা তুলে নিয়েছেন দম্পতি।

এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কাকে বলতে শোনা গিয়েছিল চলতি বছরেই, ‘আমরা চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে কী হবে, জানি না!’ আর রাহুল পৃথক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘প্রিয়াঙ্কা ওর মা-বাবার সঙ্গে থাকে। আমার সঙ্গে আমার মা থাকে। সহজ স্কুল থেকে ফেরার পর আমি কাজ না থাকলে ওখানে থাকি। প্রিয়াঙ্কা যে কটাদিন ছুটি পায় এই বাড়িতেই ল্যাদ খায়। আমরা একসঙ্গে প্রচুর খাওয়া দাওয়া করি। এখন এভাবেই দিন কাটছে।’