রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। কিংবদন্তি গায়িকাকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শাহরুখ খান, আমির খান, রণবীর কাপুর, সচিন তেন্ডুলকর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে-সহ অন্যান্যরা। তবে, লতার শেষ যাত্রায় হাজির থাকলেও তাঁর চিতায় অগ্নিসংযোগ করার আগেই সেই জায়গা ছেড়ে চলে আসেন রাহুল বৈদ্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ে নিজের না থাকতে পারার কারণ তুলে ধরলেন তিনি।
'যখনই দেখলাম লতাজির মরদেহর উপর থেকে তেরঙ্গা উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, বুঝলাম অন্তিম সময় উপস্থিত। এবার ওঁর চিতায় অগ্নিসংযোগ করা হবে। সেই সময় ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল বুকে কেউ জগদ্দল পাথর চাপিয়ে দিয়েছে, এতটাই কষ্ট হচ্ছিল। চোখের জলও বাঁধ মানছিল না।' বলতে বলতে গলা ধরে আসে রাহুলের। সামান্য থেমে রাহুলের সংযোজন, 'আমি জানি না সেই সময়ে আমার মনের অবস্থাকে কী বলে ব্যাখ্যা করব। লতা দিদির জ্বলন্ত চিতা দেখা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। সাহসেই কুলোত না, তাই সেটি হওয়ার আগেই দূর থেকে হাঁটু গেড়ে বসে প্রার্থনা সেরে চটপট সেই জায়গা চেয়ে বেরিয়ে এসেছিলাম।'
মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘ভারতের নাইটিঙ্গল’কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয়। সাথে রবিবারই দু'দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিলেন মোদী। প্রায় আট দশক ধরে বিস্তৃত ছিল লতার কেরিয়ার। ৫০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি।