সুচিত্রা-উত্তম জুটির সময়কে বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ বলা হয়। আর সেই সময়ের অন্যতম কালজয়ী ছবি হল মহানায়িকা অভিনীত দ্বীপ জ্বেলে যাই। যদিও ১৯৫৯ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ছবিতে তাঁর সঙ্গে উত্তম কুমারের বদলে দেখা গিয়েছিল বসন্ত চৌধুরীকে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন অনিল চট্টোপাধ্যায়, পাহাড়ি সান্যাল, প্রমুখ। এবার সেই ছবির রিমেক করতে চাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন মহানায়িকার নাতনি রাইমা সেন।
কী ঘটেছে?
২০২৪ সালটা রাইমা সেনের বেশ ভালোই কাটল একাধিক কাজের মধ্য দিয়ে। বস্তার: দ্য নক্সাল স্টোরি থেকে শুরু করে বিগ গার্লস ডোন্ট ক্রাই - প্রতিটা কাজেই তিনি তাঁর অভিনয় দিয়ে নজর কেড়েছেন। সম্প্রতি তিনি ৭ নভেম্বর ৪৫ বছরে পা দিয়েছেন। আপাতত তাঁর লক্ষ্য আগামীর দিকে। আর আগামীতে তিনি তাঁর দিদিমা সুচিত্রা সেনের অন্যতম কালজয়ী ছবি দ্বীপ জ্বেলে যাইয়ের রিমেক করতে চান বলেই জানালেন।
রাইমার কাছে এই ছবিটির অত্যন্ত গভীর অনুভূতিপ্রবণ একটি জায়গা। না, কেবল তাঁর দিদিমা এই ছবিটিতে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন বলেই নয়, বরং তাঁর পরিবারের ঠিক কতটা প্রভাব ছিল বা আছে তাঁর কেরিয়ারের উপর সেটার জন্যই।
তিনি সম্প্রতি এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ' আমায় যদি আমার দিদিমার কোনও ছবির রিমেক করতে বলা হয় তাহলে আমি দ্বীপ জেলে যাই ছবিটিকে বেছে নেব। এই ছবিতে তিনি এমন একটা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যেখানে তাঁর ট্যালেন্ট দারুণ ভাবে ধরা পড়েছিল। আমার দিদিমা এবং আমার মা মুনমুন সেন আমায় অনুপ্রাণিত করেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার জন্য। তাঁদের লিগ্যাসি আমায় আমার মতো করে বিনোদন জগতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেছে।'
প্রসঙ্গত ১৯৫৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল দ্বীপ জ্বেলে যাই। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন সুচিত্রা সেন এবং বসন্ত চৌধুরী।
অন্যদিকে রাইমা সেন জানিয়েছেন তিনি বর্তমানে অত্যন্ত বেছে কাজ করছেন। তাঁর কথায়, 'বস্তার : দ্য নক্সাল স্টোরি ছবিটির সময় থেকে আমি স্ক্রিপ্টের ব্যাপারে খুব খুঁতখুঁতে হয়ে গিয়েছি। আমি এখন খুব শক্তিশালী গল্প খুঁজি যেটার অর্থ থাকবে। আমার লক্ষ্য হচ্ছে এখন আরও বেশি করে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র করা এবং এক সঙ্গে নিজের উন্নতির দিকে খেয়াল রাখা। আমি আরও নিত্য নতুন সুযোগকে, দিককে এক্সপ্লোর করতে চাই।'