কিফের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার কেবল চঞ্চলের ‘হাওয়া’ বয়েছে নন্দন জুড়ে। বিকেল থেকেই নন্দন চত্বরে ভিড় ছিল দেখার মতো। আর সেখানে এদিন উপস্থিত ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী। আর তাঁদের তিনজনকে একত্রে আড্ডাও দেখা দিতে যায় এই অনুষ্ঠানে।
বর্তমানে টলিউডের বক্স অফিসে এখন দুজন মানুষের ছবিই রাজ করছে। একজন হলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, আরেকজন হলেন রাজ চক্রবর্তী। সৃজিত ইতিমধ্যেই বলিউডেও একাধিক কাজ করে ফেলেছেন। যে নন্দন ১ নিয়ে এক সময় দুই পরিচালকের মতো মনোমালিন্য হয়েছিল সেই নন্দন ১ একেই ফের এই দুই পরিচালককে একসঙ্গে আড্ডা দিতে দেখা গেল। আর এই ঘটনার নেপথ্যে কী আছে বলুন তো? কী আবার? বাংলাদেশের ‘হাওয়া’!
সমস্ত ঝগড়া, অভিমান ভুলে এদিন বাংলার দুই পরিচালককে একসঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়। সৃজিত মজা করে রাজকে বলেন, 'ঝগড়া হয়েছিল, চল এবার ছবি তুলি!' শুধুই যে তাঁরা একসঙ্গে ছবি তুললেন তাই নয়, করলেন নানান মজা, খুনসুটি। দুজনে একত্রে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ের প্রশংসাও করেন।
চলতি বছরের জুন মাসে একই সময় সৃজিত এবং রাজের দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল। রাজের ‘হাবজি গাবজি’ এবং সৃজিতের ‘এক্স ইকুয়ালস টু প্রেম’ ছবিকে ঘিরেই দুজনের মনোমালিন্য হয়। ছবি দুটি যেদিন মুক্তি পায় সেদিন দুজনের দুটি পোস্ট ঘিরেই যত বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রাজের ছবি নন্দনে জায়গা পেলেও, সৃজিতের ছবি পায়নি। এই নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন পরিচালক। যদিও পরে তিনিই সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে নেন একটা লাইভ করে। তিনি লাইভে এসে বলেন, 'রাজ বা ওর ছবি নিয়ে আমার কোনও সমস্যা নেই। অনেকে ভুল বুঝেছেন বলেই লাইভে এলাম। আমি চাই, আমার এবং ওর দুজনের ছবিই একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে চলুক।' তবে তাঁর বক্তব্য ছিল যখন দুটি ছবিই হল পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল তখন কেন একটা ছবিকেই বেছে নেওয়া হল? কারণ কী সেটাই জানতে চেয়েছিলেন গুমনামীর পরিচালক। উত্তর না পাওয়ায় অভিমান হয়েছিল তাঁর।