গত ২৫শে এপ্রিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের উদ্বোধনী মঞ্চে কার্যত হাজির ছিল গোটা টলিপাড়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে সেখানে হাজির ছিলেন শক্রুঘ্ন সিনহা, ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের গ্ল্যামার কোশেন্ট বাড়াতে সেখানে যোগ দিয়েছিলেন নুসরত, কোয়েল, শুভশ্রী, সায়ন্তিকারা। যদিও শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কেন, গোটা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবেই দেখা মিলল না অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর। কেন এই দূরত্ব? সম্প্রতি এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক-এ না আসার কারণ ফাঁস করে মিমি অভিযোগের আঙুল তোলেন রাজ চক্রবর্তীর দিকে।
বর্তমানে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের চেয়ারপার্সন রাজ চক্রবর্তী। ২০১৯ সাল থেকে এই দায়িত্ব পালন করে আসছেন মিমির প্রাক্তন প্রেমিক। সেই কারণেই কি এই মন কষাকষি? মিমি জি চব্বিশ ঘন্টাকে জানান, মিমির কাছে নাকি সঠিকভাবে আমন্ত্রণ পৌঁছায়নি। পরিচালন সমিতির তরফে নাকি কেউ একটা এসএমএস পর্যন্ত করেনি। এটাই তাঁর খারাপ লাগা। সঙ্গে মিমি যোগ করেছিলেন, ‘দিদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পক্ষে সব কিছুতে সমান নজর রাখা সম্ভব নয়। যাঁদের দিদি চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই আমার এই বক্তব্য।’
বৃুঝতে অসুবিধা হওয়ার নয় মিমির নিশানায় কে, এবার যাদবপুরের তারকা সাংসদের যাবতীয় অভিযোগের জবাব দিলেন রাজ চক্রবর্তী। তিনি এক সাক্ষাত্কারে জানান, ‘কাউকে অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। অভিনেত্রী-সাংসদকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য পরিচালক সুদেষ্ণা রায় নিজে ফোন করেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, উনি ব্যস্ত। এমনকি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সকালে আয়োজকদের পক্ষ থেকেও ওঁর কাছে ফোন যায়। তা হলে উনি অপমানিত কোথায় হলেন?’
মিমি জানিয়েছিলেন তাঁর লেটার বক্সে নিশ্চিতভাবেই কার্ড এসেছিল তবে ব্যক্তিগতভাবে ইন্ডাস্ট্রির তরফে কেউ ফোন করেনি। আসলে রাজ চক্রবর্তী যে বছর প্রথম ছবি উত্সবের দায়িত্ব পান, সে বার মঞ্চে মিমি চক্রবর্তীকে ডাকতে গিয়ে তাঁর নামের পাশে সাংসদ যোগ করেননি পরমব্রত। সেই নিয়েও ক্ষোভ উগরে ছিলেন নায়িকা। এই প্রসঙ্গে রাজ এদিন জানান, সেই ভুলের জন্য পরমব্রত বহুবার ক্ষমা চেয়েছে। পাশাপাশি রাজ চক্রবর্তী এটাও বলেন, এইবার ১৫ দিনের মধ্যে চলচ্চিত্র উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে। হবে না হবে না, করে একপ্রকার এত বড়মাপের একটা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে আয়োজন। তাই ১০ দিন আগে থেকে কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো সম্ভবপর হয়নি, বলে জানান ব্যারাকপুরের বিধায়ক।
রাজ চক্রবর্তী আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে মিমির যদি উদ্যোক্তাদের কোনও আচরণে খারাপ লেগে থাকে, তা হলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী’।