রাজ চক্রবর্তী নামের সঙ্গে এখন জড়িয়ে গিয়েছে রাজনীতি। তিনি যে এখন আর শুধু পরিচালক নন, সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কও। সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংস্কৃতিক সেলের চেয়ারম্যান পদের দায়ভার সামলাচ্ছেন। সেই রাজকে কেন চিঠি লিখতে হল মিঠুনকে!
অবশ্য এই ঘটনা একটু আগের। রাজ নিজেই তা জানিয়েছিলেন টক শো অপুর সংসারে এসে। সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গেই বলে ফেলেন সেই চিঠি পাঠানোর কথাটা। সঙ্গে তাঁর দাবি ছেলেবেলায় তিনি ভাবতেন তিনি আর মিঠুন ভাই-ভাই, কারণ দুজনের পদবীই যে চক্রবর্তী!
আসলে চিঠির ঘটনাটি ঘটেছিল রাজ যখন ছোট ছিলেন। জানান, ছোটবেলা সন্ধের সময় পড়তে বসতেন যখনই তখনই তাঁর ভীষণ ঘুম পেত। আর মা রেগে গিয়ে বাড়ির বাইরে বের করে দিত। তাতে রাজ চলে যেতেন মিঠুনের সিনেমা দেখতে। আর তাতে মা আরও রেগে গিয়ে মাথায় ঢেলে দিত ঠান্ডা জল, পিঠে দিত উত্তমমধ্যম। আর এই কষ্টেই রাজ চিঠি লিখেছিলেন মিঠুনকে।
সেই চিঠিতে রাজ অনুরোধ করেছিলেন মিঠুনকে, তাঁর আর পড়তে ভালো লাগছে না। মিঠুন যাতে তাঁকে একটি কাজ খুঁজে দেয় বা নিজের কাছে কাজে রাখে। সঙ্গে এক জায়গায় এরকমও লেখেন, ‘আপনিও চক্রবর্তী, আমিও চক্রবর্তী, আমরা তো ভাই ভাই…’
সেই রাজ যদিও এখন টলিউডের নামী পরিচালক। একের পর এক হিট দিয়েছেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে। আপাতত ব্যস্ত আবার প্রলয় ছবির কাজ নিয়ে। যাতে প্রযোজনার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বউ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং। এখন তো তিনি ছেলের বাবাও। ইউভানকে বড় করছেন। মা-বাবার সঙ্গে ছবির সেটেও মাঝে মাঝে চলে আসে খুদে।
রাজনীতির ময়দানে এখন অবশ্য রাজ আর মিঠুন আলাদা দলের। বর্তমানে মিঠুন বিজেপি-তে রয়েছেন। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে তৃণমূলেরই দেবের সঙ্গে প্রজাপতি সিনেমায়। ছবি হিট করলেও, তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা কম হয়নি। এমনকী, কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবেও বাদ পড়েছেন তিনি। যা নিয়ে বেশ ক্ষুদ্ধ মিঠুন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্বরা। ২৪ মার্চ থেকে সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে শুরু হয়েছে বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২৩। যেটি ব-কলমে কেন্দ্রীয় সরকারের NFDC, তথ্য় সম্প্রচার মন্ত্রক এবং আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের মতো বেশ কয়েকটি দফতর স্পনসর করছে বলে জানা যাচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন মঞ্চে দেখা যায় বাংলার বহু শিল্পীকে, যাঁরা কিনা রাজ্য সরকারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায়, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত মল্লিকের মতো বর্ষীয়ান তারকারা। অনুষ্ঠানে সবথেকে বেশি যিনি নজর কাড়েন তিনি হলেন কনীনিকা, যিনি কিনা এই মুহূর্তে 'সুকন্যা' বলে একটি ছবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন। কিন্তু সেখানে অদ্ভুতভাবে দেখা মেলেনি মিঠুন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)