প্রজন্মের পর প্রজন্ম, সকলের সঙ্গেই কাজ করেছেন তিনি। পৃথ্বীরাজ কাপুর থেকে শুরু করে রাজ কাপুর, এমনকি করিনা কাপুর খানের সঙ্গেও কাজ করেছেন আশারানী সিং। রাজ কাপুরের ১০০ তম শতবর্ষ উপলক্ষে স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে আশারানী জানালেন বহু অজানা তথ্য।
৭৮ বছর বয়সী আশারানী বলেন, 'রাজ সাহেব একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। জুনিয়র শিল্পীদের ভীষণভাবে সম্মান করতেন তিনি। আমাদের প্রায়ই গান শোনাতেন এবং আমাদের মতামত চাইতেন। ছবি মুক্তির আগেও আমাদের সিনেমা দেখাতেন, জানতে চাইতেন সিনেমাটি আমাদের কেমন লাগছে।'
আশারানী বলেন, ‘তিনি একজন অসামান্য পরিচালক ছিলেন। রাজ সাহেবকে হারিয়ে আজও আমরা একই রকম শোকাহত। ‘প্রেম রোগ’, ‘রাম তেরি গঙ্গা মেইলি’, ‘ববি’, ‘সত্যম্ শিবম সুন্দরম’ সহ কিছু সিনেমায় ওঁর সঙ্গে কাজ করেছি আমি। আর কে স্টুডিওয়ে মহিলাদের জন্য একটি বিশাল বড় মেকআপ রুম ছিল, যেখানে ১০ থেকে ১৫ টি আয়না ছিল এবং একটি ওয়াশরুম ছিল। মেয়েদের কাজ করতে কোনও সমস্যা হত না।’
আরও পড়ুন: 'ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি', ইন্ডিয়ান আইডলে হঠাৎ কী হল বিশালের! কার থেকে ক্ষমা চাইলেন?
আরও পড়ুন: ভুল ভুলাইয়া ৩-র সাফল্যের পরই বাংলা সাহেব গুরুদ্বারে কার্তিক! দিল্লির আর কোন জায়গা ঘুরে দেখলেন?
পুরনো দিনের কথা বলতে গিয়ে রাজ কাপুরের এই জুনিয়র শিল্পী বলেন, ‘আউটডোর শুটিং-এর পর আমরা সকলে মিলে সিনেমা দেখতে যেতাম। ফেরার সময় আমাদের সকলকে খাওয়াতেন তিনি। তবে কাজের ব্যাপারে ভীষণ কঠোর ছিলেন রাজ সাহেব। একবার একটি গানের শুটিংয়ে কয়েকজন মেয়ে কিছুতেই নাচ করতে পারছিল না, তাদের কিছুটা ধমকে দিয়ে রাজ সাহেব নিজেই নাচ করে দেখালেন এবং তাদের শেখালেন কীভাবে নাচ করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেরা নাম জোকার আমার সবথেকে প্রিয় সিনেমা ছিল। সিনেমাটি যখন বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তখন আমি ভীষণ ভেঙে পড়েছিলাম। যদিও পড়ে সিনেমাটি সকলে পছন্দ করেছিলেন। তবে রাজ সাহেব শুধু নন, তখনকার সময় বড় বড় অভিনেত্রীরাও আমাকে ভীষণ পছন্দ করতেন। ওয়াদিয়া জি বলতেন, আশা আউটডোরে যাবেই।’
আরও পড়ুন: বিশ্বজিতের কোলে বসা একরত্তি কিন্তু টলিউড-বলিউড কাঁপাচ্ছে, দেখুন তো চিনতে পারছেন অভিনেতাকে?
প্রসঙ্গত, জুনিয়র শিল্পী হিসেবে আশারানী যখন অভিনেত্রীদের বডি ডাবল চরিত্রে অভিনয় করতেন তখন অভিনেত্রী এবং জুনিয়র শিল্পীদের জন্য একই রকম পোশাক তৈরি করা হত। রাজ কাপুর যে আক্ষরিক অর্থেই একজন বিরাট মনের মানুষ ছিলেন, তা এই সমস্ত ঘটনা থেকেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যায়।