সম্প্রতি পর্নোগ্রাফি কাণ্ড এবং অর্থ তছরুপের কেসে ইডি আবারও রাজ কুন্দ্রা এবং শিল্পা শেট্টির বাড়িতে হানা দিয়েছিল। সেই তল্লাশির পর এবার অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর বেটার হাফ। প্রশ্ন তুললেন এই বিষয়ে শিল্পার নাম জড়ানো নিয়ে। এদিন তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি পোস্ট করেন রাজ। শনিবার সকাল সকাল করা সেই পোস্টে তিনি একটি ছোট বার্তায় সকলকে অনুরোধ করেন যাতে এই বিষয়ে অর্থাৎ যেটায় শিল্পা যুক্ত নন, যেটার সঙ্গে তাঁর যোগ নেই সেখানে যেন তাঁর নাম না টানা হয়।
আরও পড়ুন: বাবার আত্মহত্যাই 'হার না মানার গান' গাইতে শিখিয়েছে দেবচন্দ্রিমাকে! বললেন, 'জীবনে যাই হয়ে যাক...'
ঠিক কী লিখেছেন রাজ তাঁর পোস্টে?
রাজ এদিন তাঁর পোস্টে লেখেন, 'টু হুম ইট মে কনসার্ন। মিডিয়ার মনে হচ্ছে নাটকের প্রতি টান আছে। তাহলে এই বিষিয়ে স্পষ্ট করে কথা বলাই শ্রেয়। গত ৪ বছর ধরে একটানা যে তদন্ত চলছে আমি তাতে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। অ্যাসোসিয়েট, পর্নোগ্রাফি এবং টাকা তছরুপের যা যা অভিযোগ উঠছে সেই বিষয়ে বলি কোনও রকমের কিছু সত্যকে মেঘের আড়ালে আড়াল করতে পারবে না। যেটা সত্যি সেটা শেষ পর্যন্ত সামনে আসবেই।'
তিনি এদিন আরও লেখেন, 'মিডিয়ার জন্য একটা বিশেষ নোট। এটা একেবারেই প্রত্যাশিত নয় যে বারবার এসব অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে আমার স্ত্রীর নাম টানা। সীমাকে অতিক্রম করবেন না দয়া করে।'
রাজ এবং শিল্পার বাড়িতে ইডি
ইডির তরফে শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর একাধিক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে আর তাঁদের মধ্যে আছেন শিল্পা শেট্টির বর রাজ কুন্দ্রাও। এদিন মুম্বই এবং উত্তর প্রদেশের প্রত ১৫ টি জায়গায় সার্চ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে অর্থ তছরুপের কেস যেমন আছে সঙ্গে ব্লু ফিল্ম বানানো এবং সেগুলোকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কেসেও এই সার্চ অপারেশন চালালো এদিন ইডি। প্রসঙ্গত ২০২১ সালের জুলাই মাসে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই সময় অর্থ তছরুপ থেকে ব্লু ফিল্মে টাকা ঢালার জন্যই ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী কেস করা হয়।
আরও পড়ুন: 'নামেই স্বাধীন তুমি, চেতনায় পরাধীন', কবিতার ছন্দে বাংলাদেশকে কটাক্ষ শ্রীজাতর, খোঁটা দিলেন 'শুশ্রূষা-জলের'
যাঁরা জানেন না তাঁদের উদ্দেশ্যে জানাই ২০২১ সালের জুলাই মাসে একাধিক কেসে রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বেল পেয়ে বাইরে আসেন তিনি। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর তাঁকে সেই বেল দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে খালি রাজ কুন্দ্রা নন, সেই সময় বেল পেয়েছিলেন শার্লিন চোপড়া, পুনম পান্ডের মতো অভিনেতারা। তাঁদের বিরুদ্ধেও পর্ন ভিডিয়ো ছড়ানোর অভিযোগ ছিল।