২০২২-এ ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (KIFF) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামী বছর ৭ জানুয়ারি এই উৎসব শুরু হওয়ার কথা। নির্বাচনের জন্য ছবি দেখা থেকে শুরু করে, যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা। এরই মধ্যে টলি পাড়ায় জোর চর্চা, আগামী বছর কিফে বদল হতে পারে চেয়ারপার্সন। কিন্তু কেন? বিগত দু-বছর ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
বর্তমানে রাজ বিধায়ক। গুরু দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। এবিষয় কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে রাজ জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি, এ বছর অন্য কেউ চেয়ারপার্সন হলে ভালো হয়। যদিও ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যুক্ত থাকবো আমি'।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? এবিষয় বিধায়ক-পরিচালক বলেন, 'গত দু' বছরে আমি চেয়ারপার্সন থাকা অবস্থায় পরমব্রত (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা তথা পরিচালক) বা অরিন্দমদা (অরিন্দম শীল, পরিচালক) সর্বক্ষণ বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। ফেস্টিভ্যাল কমিটির প্রত্যেক সদস্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেন। এটা আমাদের সকলের ফেস্টিভ্যাল। এমন সম্মানীয় পদ আমি বেশিদিন আটকে রাখতে চাই না। অন্য কেউ এলে, হয়তো তাঁর ভাবনা ফেস্টিভ্যালকে আরও উন্নত করতে পারে। এমন পদে নতুন-নতুন মুখ এলে সকলে আরও উৎসাহিত হবেন'।
রাজ আরও বলেন, 'যখন দায়িত্ব পাই, অনেকেই বলেছিলেন, এই পদের যোগ্য আমি নই। যাঁরা আমাকে যোগ্য মনে করেননি আর যাঁরা আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, দু' পক্ষকে নিয়েই আমি ফেস্টিভ্যাল করেছি। কারণ এটা আমাদের সকলের। আমাদের ঐতিহ্য-ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। আমার একশো শতাংশ দিয়ে ফেস্টিভ্যালের কাজ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট পদ পেতেই হবে সেই রকম নয়। তাই এমন অনুরোধ করেছি'।
যদিও টলিপাড়ায় জোর গুঞ্জন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে কিফ-এর চেয়ারপার্সনের পদ! এবিষয় রাজ অবশ্য জানিয়েছেন, 'এই ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ তারিখ পর্যন্ত অত্যন্ত ব্যস্ত। তারপর কোনও সিদ্ধান্ত হবে। যদি উনি আমাকেই থাকতে বলেন এই পদে, তা হলে দায়িত্ব সামলাবো। না হলে অন্য কেউ এই পদ নেবেন'। তবে পরিচালক-বিধায়ক চাইছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানতে পারলে ভালো হয়। দায়িত্বে নতুন কেউ এলে, সে তাঁর মতো করে উৎসবের কিছু বিষয় সাজাতে পারবেন।
কে হবেন ২৭ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-এর চেয়ারপার্সন? সবটাই এখন সময়ের অপেক্ষা।