২২ মে, সোমবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দক্ষিণী অভিনেতা শরৎ বাবু। এই ৭১ বছর বয়সী অভিনেতা দীর্ঘদিন ধরেই সেপসিস আক্রান্ত ছিলেন। এই মাসের শুরু থেকেই তিনি হায়দ্রাবাদের এআইজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন একাধিক অভিনেতা। তাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করার নানা স্মৃতি মনে করেছেন। প্রয়াত অভিনেতার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন।
দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্ত এদিন একটি টুইট করেন তাঁর কাছের বন্ধু শরৎ বাবুকে নিয়ে। জানান শরৎ বাবু একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন। রজনীকান্ত তাঁর টুইটে লেখেন, 'একটা অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। ওর আত্মার শান্তি কামনা করছি।'
তবে কেবল রজনীকান্ত নন, শরৎ বাবুর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন চিরঞ্জীবী, কমল হাসানও। কমল হাসান এদিন পোস্ট করে লেখেন, 'ভারতীয় সিনেমা একজন ভালো অভিনেতাকে হারাল।' অন্যদিকে চিরঞ্জীবী তাঁর পোস্টে লেখেন, 'তিনি ভক্তদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন নিজের অভিনয় দিয়ে। ওর অভিনয় মানেই নিখুঁত সুন্দর কাজ এবং তাতে আভিজাত্যের ছাপ থাকবেই।'
শরৎ বাবু তাঁর কেরিয়ারে ২৫০টির বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। তিনি তামিল ছবি সহ কন্নড়, তেলুগু ভাষার ছবিতেও কাজ করেছেন। তিনি অধিকাংশ ছবিতেই রজনীকান্ত এবং কমল হাসানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন। ইদি কথা কাদু ছবির মাধ্যমে তিনি পরিচিতির আলোয় আসেন। এই তেলুগু ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন কে বালাচন্দ্র। এই ছবিতে চিরঞ্জীবী এবং কমল হাসান দুজনেই ছিলেন।
গত ২০ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সূত্রের খবর অনুযায়ী তাঁর সেপসিস হয়ে গিয়েছিল যার কারণে তাঁর কিডনি, লাংস, লিভার এবং অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায় ধীরে ধীরে। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়।
কিছুদিন আগেই একটি ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল যে তিনি আর বেঁচে নেই। এসব ভিত্তিহীন খবরের ব্যাপারে তখন মুখ খুলেছিলেন শরৎ বাবুর বোন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জানিয়েছিলেন 'শরৎ বাবুর বিষয়ে যে যে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে সবই মিথ্যে। তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। তাঁকে অন্য কেবিনে সরানো হয়েছে। আমার অনুরোধ রইল সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও ভুয়ো তথ্যে বিশ্বাস করবেন না।'
শরৎ বাবুর আসল নাম সত্যম বাবু দীক্ষিতলুলু। তিনি ১৯৭৩ সালে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একটি তেলুগু ছবি রাম রাজ্যর মাধ্যমে। ১৯৭৭ সালে তামিল ছবিতে ডেবিউ সারেন। এরপর ১৯৭৯ সালে তিনি মালায়লি ছবিতে ডেবিউ করেছিলেন। এই ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন হরিহরন। ছবিটির নাম ছিল সরপঞ্চরম। তবে তিনি মূলত প্রচারের আলোয় আসেন তামিল ইন্ডাস্ট্রিতে যা যা করেছেন তার জন্য।