গত ২৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘দো পাত্তি’। কাজল এবং কৃতি শ্যানন অভিনীত এই ছবির বিরুদ্ধে এবার গুরুতর অভিযোগ আনলেন বাংলার শিল্পী, মিউজিক প্রোডিউসার রাজর্ষি মিত্র। তিনি এদিন ফেসবুকে দুটো ভিডিয়ো পোস্ট করে জানান তাঁর ছয় বছর পুরনো একটি ব্যাকিং ট্র্যাক 'চুরি' করেছে বলিউডের এই খ্যাতনামা মিউজিক লেবেল।
আরও পড়ুন: সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গরমিল করেছেন AIIMS -এর চিকিৎসক? বিস্ফোরক দাবি সলমনের প্রাক্তন সোমির
আরও পড়ুন: ছয় দশক পর ফের বড় পর্দায় ‘মণিহারা’! ৩ ভূতের গপ্প বলতে সত্যমের সঙ্গে থাকছেন কারা?
কী ঘটেছে?
বৃহস্পতিবার রাজর্ষি মিত্র ফেসবুকের পাতায় একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেন যেখানে ‘দো পাত্তি’ ছবিটির ‘মাইয়া’ গানটির পোস্টার দেখা যাচ্ছে। এই স্ক্রিনশট পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'ইনস্টাগ্রামে আমায় একজন মেসেজ করে জানান যে আমার একটি ব্যাকিং ট্র্যাক বলিউডের একটি বিগ বাজেট ছবিতে ব্যবহৃত হয়েছে। এই যে স্ক্রিনশট দিলাম। লিঙ্ক কমেন্টে দিচ্ছি।' তিনি এই পোস্টে আরও দাবি করে লেখেন, 'বলিউডের অবস্থা দিন দিন একেবারে বেহাল হয়ে যাচ্ছে। আর সেটার একটা প্রমাণ হল এটা। ছিঃ!' প্রসঙ্গত তিনি এদিন যে লিঙ্কগুলো পোস্ট করেছেন সেগুলো একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে যে দুটো ট্র্যাক একেবারেই এক। এতটুকু ফারাক নেই।
তবুও নেটিজেনদের সুবিধার্থে রাজর্ষি শুক্রবার, ৮ নভেম্বর আরও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে তিনি বলেন, 'নমস্কার আমার নাম রাজর্ষি মিত্র। আমি কলকাতার একজন গিটার বাদক, মিউজিক প্রোডিউসার, কম্পোজার। আমি বর্তমানে প্রচণ্ড রেগে রয়েছি কারণ ভীষণ খারাপ একটা ঘটনা ঘটেছে আমার সঙ্গে। আমি মাঝে মধ্যেই গিটারের ব্যাকিং ট্র্যাক আপলোড করতে থাকি। আর তেমনই একটি ট্র্যাক ২০১৮ সালের ৩১ অগস্ট আপলোড করেছিলাম। মানে ৬ বছর আগে। আর সেই ট্র্যাক নিজেদের ছবি দো পাত্তির জন্য চুরি করে নিয়েছে বলিউডের একটি খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থা। মাইয়া নামক একটি গানে ব্যবহার করা হয়েছে সেই ট্র্যাক। ওরা সেই ট্র্যাক নিয়ে জাস্ট তার উপর ভোকাল বসিয়ে পুনরায় পাবলিশ করে দিয়েছে।' তিনি এদিন এও জানান যে এই ছবির অন্যতম সঙ্গীত পরিচালক সচেতের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন, তিনি জানিয়েছেন যে যেটা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। গোটা বিষয়টা জানানোর পর তাঁর নাম সাময়িকভাবে ক্রেডিটে দেওয়া হলেও পরে সেটা সরিয়ে নেওয়া হয়। সমস্ত ঘটনার স্ক্রিনশট সহ এই ভিডিয়োতে তুলে ধরেন রাজর্ষি।
রাজর্ষি গোটা ঘটনাটা প্রকাশ্যে আনার পর তাঁর মতো অনেকেই বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন গোটা বিষয়টা নিয়ে। এক ব্যক্তি লেখেন, 'ক্রেডিট ছাড়ুন। মোটা অঙ্কের একটি চেক চান ওদের ছবির বাজেটের থেকেও বেশি, তাতে যদি শিক্ষা হয়।' দ্বিতীয় ব্যক্তি বলেন, 'কোনও ক্রেডিট নয়। সোজা আইনি পদক্ষেপ নিয়ে টাকা চান।' বলিউডের এত খ্যাতনামা প্রযোজনা সংস্থা এবং দুই সঙ্গীত পরিচালকের নামেও অনেকেই ছিঃ ছিঃ করেছেন। যদিও এখনও গোটা বিষয়টা নিয়ে ছবির নির্মাতা বা সঙ্গীত পরিচালকদ্বয় মানে, সচেত এবং পরম্পরা কেউই মুখ খোলেননি।