একটুর জন্য বেঁচে ফিরলেন রাজদীপ গুপ্ত। অঞ্জন দত্তের পরিচালনায় 'মার্ডার ইন দ্য হিলস'নামের একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং চলাকালীন সেই দুর্ঘটনা ঘটে। ফেসবুকে এক লাইভ লাইভ আড্ডায় এসে নিজের মুখেই সেকথা জানালেন রাজদীপ।
ওই সিরিজে রাজদীপ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুপ্রভাত দাস। একটি দৃশ্য ছিল যেখানে দেখা যাবে সুপ্রভাত একটি চেয়ার সজোরে ছুড়ে মারবেন রাজদীপের দিকে। রাজদীপ সেই আঘাতে মাটিতে পড়ে যাবেন। বাস্তবেও ঠিক তাই হয়েছিল। কিন্তু ওই নির্দিষ্ট দৃশ্যের শুটিং চলাকালীন নিজেদের চরিত্রে এতটাই একাত্ম হয়ে ওঠেন অভিনেতারা যে বিপত্তিটা ঘটে সেকারণেই। ফলে চেয়ার ছোড়ার পর তা মাথায় লাগে রাজদীপের। এরপর আচমকা অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তী খেয়াল করেন যে শট শেষ হয়ে গেলেও মাটি ছেড়ে উঠছেন না রাজদীপ। এদিকে অবস্থা যে ঠিক সুবিধের নয়,তা ততক্ষণে টের পেয়েছেন সুপ্রভাতও। বোঝামাত্রই সবাই মিলে ছুটে যান মাটিতে পড়ে থাকা রাজদীপের কাছে। গিয়ে বোঝেন, তিনি কয়েক মুহূর্তের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। এরপর অভিনেতার চোখে মুখে জল দিয়ে তাঁর জ্ঞান ফেরানো হয়।

উল্লেখ্য, এই গোটা শটটি পাহাড়ের ওপর নেওয়া হচ্ছিল ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে। ফলে পাহাড়ের নিচে ছিলেন পরিচালক অন্যজন দত্ত সহ বাকি কলাকুশলী। তাই তাঁরা শট দেখে রাজদীপের ওই অবস্থা মোটেই বুঝতে পারেননি। বরং ভেবেছিলেন দুর্দান্তভাবে শটটি উতরে দিয়েছেন অভিনেতা। তবে এতকিছুর পরেও কাজ কিন্তু থামেনি। মানে রাজদীপ নিজেই শুটিং বন্ধ করেনি। সবাইকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছিলেন একেবারে ঠিক আছেন তিনি। সুপ্রভাতের কাছে গিয়ে নিজেই তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন। এরপর ফের একবার ওই সত্যি নেওয়া হয়। তবে এবারে সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে। গোটা ঘটনার প্রসঙ্গে সুপ্রভাত জানান যে জায়গায় তাঁর শুটিংটা সারছিলেন, বিশেষ করে রাজদীপ যেখানে পড়ে গেছিলেন সেখান থেকে পাহাড়ের খাদ ছিল মাত্র ইঞ্চি কয়েক দূরে। সুতরাং বিরাট বিপদ হতে পারত একটু এদিক ওদিক হলেই। মজার ছলে পরিচালক অঞ্জন দত্ত জানান, ' খাদে পড়ে গেলে না হয় সেখান থেকে রাজদীপকে তুলে আনা যেত কিন্তু চেয়ারটা যদি আরও একটু নিচে আঘাত করত তাহলে অন্ধ হয়ে যেত রাজদীপ!
তাছাড়া শুটিং শুরুর আগে অঞ্জন দত্ত পরিচালক হিসেবে কেমন সেই চিন্তা,ভয়ে পেট খারাপ হয়ে গেছিল রাজদীপের। ওই আদায় নিজেই সেকথা জানিয়েছেন রাজদীপ। অভিনেতার মুখে এহেন কথা শোনার পর তাঁর সহকর্মীরা হাসিতে ফেটে পড়লেও পুরোপুরি হতভম্ব হয়ে যান অঞ্জন দত্ত!