কিছুদিন আগেই শোনা গেছিল সর্বস্ব হারিয়ে প্রায় দেউলিয়া হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন বলি-অভিনেতা রাজেশ খট্টর। যিনি নিজের অভিনয় দক্ষতা থেকেও বেশি পরিচিত 'আয়রন ম্যান' খ্যাত অভিনেতা রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের সব ছবির হিন্দি ডাবিংয়ের ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে। তাছাড়া আরও একটি পরিচয় রয়েছে রাজেশের। তিনি বলি-অভিনেতা ঈশান খট্টরের বাবা। পাশাপাশি শাহিদ কাপুরও যে তাঁর সৎ ছেলে একথাও সর্বজনবিদিত। ফেরা যাক অভিনেতার 'দেউলিয়া' হওয়ার খবরের প্রসঙ্গে। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই খবরকে স্রেফ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে জানিয়েছেন এই খবর শুনে তিনি যতটা না অবাক হয়েছেন তার থেকে বেশি ক্রুদ্ধ ও হতাশ হয়েছেন যখন এই 'গুজব'-এ ঈশান এবং শাহিদের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে রাজেশ আরও জানান যে প্রথমে এই খবর শুনে তিনি বেশ মজাই পেয়েছিলেন। গোটা ব্যাপারটাই বেশ হালকা ভাবেই নিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর জল এতদূর গড়ায় যে ব্যক্তিগত জীবনেও প্রভাব পড়া শুরু হয়।গোটা বিষয়টির সূত্রপাত হয় রাজেশের বর্তমান স্ত্রী বন্দনা সাজনানির করা একটি মন্তব্যের থেকে। জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বন্দনা জানিয়েছিলেন গত দু-আড়াই বছর ধরে একাধিক কারণে তাঁদের সঞ্চিত প্রায় সমস্ত অর্থ খরচ হয়ে গেছে ডাক্তার এবং হাসপাতালের পিছনে। পাশাপাশি করোনার সুবাদে গত দেড় বছর ধরে কোনও কাজও নেই। এরপর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে এই খবর। ধীরে ধীরে এই খবরের টেনে নিয়ে আসা হয় ঈশান এবং শাহিদকেও।
ঘটনার শেষ এখানেই হয়নি। রাজেশের কথায়,' এরপর থেকেই অজস্র ফোন পেতে শুরু করি আমার আত্মীয় এবং বন্ধুবান্ধদের থেকে। অর্থ সাহায্যের প্রস্তাব পেয়ে পেয়ে প্রায় জোরবার হয়ে গেছি। এমন মোটেও নয় যে আমি অর্থনৈতিক সঙ্কটে নেই। বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে,তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এই অবস্থা তো আমার মতো বহু মানুষেরও। হ্যাঁ,ইটা ঠিক যে গত দু-আড়াই বছরে আমাদের জীবনের ওপর দিয়ে ঝড় চলছে। এতবার ডাক্তার থেকে হাসপাতাল ছোটাছুটি করতে হয়েছে যে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে, কিন্তু তা দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার মতো নয়!'
তাহলে রাজেশের স্ত্রী বন্দনা কেন করলেন এই মন্তব্য? এই প্রশ্নের ছোট্ট করে দেওয়া জবাবে রাজেশ বলেছেন ওঁর কথার অর্থ ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা হয়নি। তাছাড়া তিনি যদি কোনওদিন ভবিষ্যে এরকম অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হন তাহলে সেই দুঃসময়ে তারপরিবার রয়েছে পাশে দাঁড়ানোর জন্য। তবে বক্তব্য শেষে এই প্রসঙ্গে শাহিদ এবং ঈশানকে এই 'গুজবে' টেনে আনার জন্য নিজের উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি।