পরিবারে সবথেকে বেশি প্রতিভাবান ছিলেন ভাই রাজীব কাপুর একথা আগেই জানিয়ে ছিলেন দাদা ঋষি কাপুর। আত্মজীবনীতে সেই কথা তুলে ধরেন ঋষি। বইতে ছোট ভাই সম্পর্কে নিজের মনোভাব লিখেছিলেন অভিনেতা।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়াররি) সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতা রাজীব কাপুরের। ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন রাজ কাপুর ও কৃষ্ণা কাপুরের সবচেয়ে ছোট সন্তান রাজীব। রাজ কাপুরের পাঁচ সন্তানের মধ্যে তিন পুত্র সন্তানই (রণধীর কাপুর, ঋষি কাপুর এবং রাজীব কাপুর) পরিবারের ঐতিহ্য মেনে অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন। রাজ কাপুররে দুই মেয়ে রয়েছে নীতু নন্দা এবং রিমা জৈন। পাঁচ সন্তানের মধ্যে জ্যেষ্ঠ পুত্র রণধীর কপূর ও কনিষ্ঠ কন্যা রিমা জৈন কেবল বেঁচে রয়েছেন। গত বছর প্রয়াত হন ঋতু নন্দা ও ঋষি কাপুর, নতুন বছরের শুরুতেই চলে গেলেন রাজীব কাপুর।
২০২০ সালে এপ্রিল মাসে প্রয়াত ঋষি কাপুর। অভিনেতার আত্মজীবনীর নাম ‘Khullam Khulla: Rishi Kapoor Uncensored’। বইতে তিনি রাজীব কাপুর সম্পর্কে লিখেছিলেন, তাঁরা দুই ভাই ছোট থেকে খুব একটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। বড় হওয়ার পর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে।

ভাই চিম্পু (রাজীব) সম্পর্কে আত্মজীবনীতে ঋষি জানিয়েছেন, ভাইয়ের মধ্যে অনেক প্রতিভা লক্ষ্য করেছিলেন তিনি। ‘সে যদি নিজে বুঝত যে তাঁর অঢেল প্রতিভা রয়েছে, তা হলে আজ সে এই ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র সম্পাদক ও সঙ্গীতশিল্পী হয়ে উঠতে পারত। রাজীব দুর্দান্ত পিয়ানো বাজায়। কিন্তু কোনওদিন, কারুর কাছ থেকে পিয়ানো বাজানো শেখেনি। সঙ্গীত সম্পর্কে ওর অশেষ জ্ঞান’।
পরিচালক ঋষি কাপুরের ‘আ অব লৌট চলে’ ছবির সম্পাদনা করেছিলেন রাজীব। সেটা দেখার পর ঋষির ধারণা হয়েছিল, এত ভাল সম্পাদনা করার ক্ষমতা ইন্ডাস্ট্রিতে আর কারুর নেই।
১৯৮৩ সালে ‘এক জান হ্যায় হাম’ ছবির সঙ্গে রুপোলি সফর শুরু করেছিলেন তিনি। ‘রাম তেরি গঙ্গা মৈলি’ ছাড়াও ‘আসমান’, ‘লাভার বয়’, ‘জবরদস্ত’, ‘হাম তো চলে পরদেশ’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাজীব কাপুর। শেষবার জমিনদার (১৯৯০) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবির প্রযোজক এবং পরিচালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।