‘ট্র্যাপড’, ‘শাদি মে জরুর আনা’, ‘স্ত্রী’, ‘নিউটন’, ‘সিটিলাইটস’-এর মতো সিনেমা দিয়ে বলিউডে নিজের জায়গা করেছেন রাজকুমার রাও। ভক্তের সংখ্যাও এখন নেহাত মন্দ না। তবে বলিউডে কোনও গদফাদার ছিল না রাজকুমারের। গুরগাঁও-এর খুব সাধারণ পরিবারেই তাঁর বেড়ে ওঠা।
সম্প্রতি ‘বম্বে জার্নি’-র জন্য সাক্ষাৎকারে রাজকুমার জানালেন ক্লাস ৮-৯ পড়ার সময় থেকেই তিনি ভেবে নিয়েছিলেন অভিনয় করবেন। এক দাদার সঙ্গে দিল্লির মান্ডির শ্রীরাম সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টসে আসেন, সেই দাদা ‘অ্যাক্টিং’ কোর্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। দাদা চান্স পাননি। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা তখনই মাথায় ঢুকে যায় তাঁর। স্কুলে নাটক, থিয়েটার করা শুরু করেন। এবং ১২ পাশ করার পর যখন তিনি অ্যাপ্লাই করেন সুযোগ পেয়ে যান।
তখন রাজকুমারের মাথায় ঘুরতে থাকে গুরগাঁও থেকে কীভাবে রোজ মান্ডি যাবেন। কারণ বাসে করে যেতে গেলে লেগে যাবে রোজ ১০০ টাকার কাছাকাছি। মানে মাসে ৩০০০ টাকা। যা দেওয়া সম্ভব হত না তাঁর পরিবারের পক্ষে। তখন কেউ তাঁকে বুদ্ধি দেয় ভর্তি হতে দিল্লির এআরএসডি কলেজে (Atma Ram Sanatan Dharma College)। তাহলে পাবেন বাসের পাস। তাই করেন রাজকুমার। সেখানেও ভর্তি হয়ে যান গ্র্যাজুয়েশনের জন্য।
সেইসময় বাসে যেদিন যাওয়া সম্ভব হত না সাইকেলে করে চলে যেতেন। বাড়ি থেকে দূরত্ব ছিল ৭২ কিমি। ওয়াকম্যান কানে দিয়ে সাঅকেল চালাতেন। বাজত ‘পাপা কহেতে হ্যায়’, ‘চান্দ তারে তোড় লাউ’, ‘লক্ষ্য হার হাল মে পানা হ্যায়’-এর মতো গান।
রাজকুমারের কথায়, ‘তখন খুব পরিশ্রম করেছিলাম। রাতদিন খাটতাম। খুব থিয়েটার করতাম। নিজের লক্ষ্যে নিশ্চল ছিলাম।’