বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Gandhi godse ek yudh review: ঠিক-ভুল সব ঘেঁটে নতুন করে ভাবাল রাজকুমার সন্তোষীর ‘গান্ধী-গডসে এক যুদ্ধ’

Gandhi godse ek yudh review: ঠিক-ভুল সব ঘেঁটে নতুন করে ভাবাল রাজকুমার সন্তোষীর ‘গান্ধী-গডসে এক যুদ্ধ’

গান্ধী-গডসের মতাদর্শের ধুন্ধুমার লড়াই

Gandhi Godse Ek Yudh: মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার সন্তোষীর নতুন ছবি গান্ধী গডসে এক যুদ্ধ। এই দুই ঐতিহাসিক চরিত্রের মতাদর্শের লড়াই ধরা পড়বে এই ছবিতে।

পাঠান ক্রেজের মধ্যেও রাজকুমার সন্তোষীর গান্ধী গডসে এক যুদ্ধের সাক্ষী হয়ে এলাম। একটি কল্পনাপ্রসূত ঘটনা, একটা চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি রয়েছে প্রেক্ষাপট হিসেবে সঙ্গে আছে মতাদর্শের লড়াই। দেখতে বসে আপনি নিজেই ঘেঁটে ফেলবেন যে কে ঠিক আর ভুল। আপনার নিজের ভাবনাই অনেকটা ওলোটপালোট হয়ে যাবে। একবার মনে করবেন হ্যাঁ, নাথুরাম যা করেছেন, যা বলছেন একদম উচিত কাজ, উচিত কথা। পর মুহূর্তেই মনে হবে গান্ধীর এই কথাটা কি ফেলনা? তাঁর কাজ, ভাবনার কি কোনও গভীরতা নেই? এই প্রশ্নের উত্তর আপনি নিজেই দেবেন। এই ছবিতেই জহরলাল নেহেরু বলেছেন, 'গান্ধীজিকে চেনা সহজ নয়।' আর সেটাই যেন বারংবার ছবিতে ধরা পড়েছে।

ছবি শুরু হচ্ছে বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা এসেছে দেশে সেই সময় থেকে। কিন্তু সঙ্গে এনেছে দেশভাগ, দাঙ্গা, ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতিকে। মুসলিমদের উপর শিখরা অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে। ওদিকে পাকিস্তান থেকে খবর আসছে সেখানে হিন্দু নারীদের উপর অত্যাচার চলছে, শিশুদের বেচে দেওয়া হচ্ছে। আর এই গোটা ঘটনার জন্য অনেকেই গান্ধীজিকে দায়ী করছেন।

গান্ধীজিকে কেবল দেশভাগ নয়, দায়ী করা হয় পাকিস্তানকে প্রতিশ্রুতি মতো ৫৫ কোটি টাকা দেওয়ার জন্য, তাঁকে দায়ী করা হয় মুসলিমদের পক্ষ নেওয়ার জন্য। স্লোগান উঠতে থাকে গান্ধী গদ্দার, খুন কা বদলা খুনের। বলা হয় তিনি বারবার আমরণ অনশন করছেন নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। ভয় দেখিয়ে কাজ হাসিল করতে চাইছেন। একই সঙ্গে সরকার আছে, কিন্তু সংবিধান নয় তাঁর কথা অনুযায়ী চলছে সেটা। আর এই গোটা প্রেক্ষাপট এমন ভাবেই সাজানো হয়েছে আপনার মনেও প্রশ্ন উঠবে তবে কি সত্যি তাই?

অন্যদিকে আছেন নাথুরাম গডসে। বীর সাভারকারের আদর্শে তিনি অনুপ্রাণিত। মুসলিম তোষণ দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। মনে করেন তাঁর জন্য দেশভাগ হল। হিন্দুরা নিপীড়িত হচ্ছে। এবং তিনি গান্ধী হত্যা করতে চললেন বীর দর্পে। সামনে গিয়ে পর পর তিনটি গুলিও ছোড়েন। কিন্তু একি! গান্ধীজি বেঁচে গেলেন। পাল্টে গেল পর্দার ইতিহাস। নতুন ইতিহাস দেখা গেল পর্দায়।

হ্যাঁ, গান্ধীজি যদি সেদিন না মারা যেতেন, কী হতো, কী হতে পারত সেটাই এই ছবিতে দেখানো হয়েছে। দুই মতাদর্শের মধ্যে লড়াই দেখা গিয়েছে। কেউ কখনও কারও চোখ খুলে দিয়েছে তো, কখনও আরেকজন চোখে আঙুল দিয়ে তাঁর ভুল দেখিয়ে দিয়েছে। দুজনেই গীতা পাঠ করেন। কিন্তু ভাবনা? একদম আলাদা। কী হয় শেষ পর্যন্ত, কার লড়াই যেতে, কে সঠিক প্রমাণিত হয় সেটাই দেখা যায় এই ছবিতে।

গান্ধী গডসে এক যুদ্ধ ছবির কথা বলতে গেলে যেটা সবার আগে বলতেই হবে সেটা হল এই ছবির কাস্টিং এবং মেকআপ। গান্ধীর চরিত্রে থাকা দীপক আন্তনিকে দেখে আপনার এতটুকু মনে হবে না যে আপনি পর্দায় ছবিটি দেখছেন। জীবন্ত ‘বাপু’কেই তাঁর মধ্যে খুঁজে পাবেন। সেই এক চালচলন, হাতের আঙুল ধরে রাখার ধরন, হাসি। অন্যদিকে নাথুরাম গডসের ছবির সঙ্গে চিন্ময় মন্ডেলকরের মিল না থাকলেও তাঁর অভিনয় এতটাই সাবলীল আর সুন্দর ছিল যে এই ছবিতে তাঁর চরিত্র অবশ্যই আপনার একটা উপরি পাওয়া হবে। এছাড়া জহরলাল নেহেরুর চরিত্রে পবন চোপড়া সহ অন্যান্য চরিত্রে সকলেই যথাযথ। তবে রাজকুমার সন্তোষীর মেয়ে তানিশা সন্তোষী নিরাশ করলেন। তাঁর অভিনয় বড়ই দুর্বল এই ছবিতে।

কাস্টিং ছাড়াও এই ছবির আরেকটি জিনিস যেটা আপনার নজর কাড়বে সেটা হল সংলাপ। একাধিক সংলাপ আপনাকে ভাবাবে, ভাবতে বাধ্য করবে। দোলাচলে ফেলে দিতে পারে। যেমন, 'গডসে একদিনে হওয়া যায়, গান্ধী হতে সারাজীবন লেগে যায়,' 'তোমার গর্ব করা উচিত না লজ্জা পাওয়া সেটা ইতিহাস বলবে,' 'কংগ্রেসের উদ্দেশ্য পার্টি ছিল না, এটা একটা মঞ্চ ছিল যা স্বাধীনতা পেতে সাহায্য করবে,' 'দেশ ধর্মের জন্য হিংসার প্রয়োজন আছে, 'আমরণ অনশন এক ধরনের মানসিক হিংসা' ইত্যাদি। একই সঙ্গে এখানে গান্ধীজি প্রেমকে একপ্রকার বিকার মনে করতেন সেটা দেখানো হয়। বলা হয় তাঁর জন্যই নাকি জয়প্রকাশ নারায়ণ এবং তাঁর স্ত্রী, এমনকি তাঁর নিজের সন্তানদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিলেন এই ভাবনার জন্য।

তবে ট্রেলার দেখে এই ছবি নিয়ে যতটা আশা তৈরি হয়েছিল রাজকুমার সেই উচ্চতায় পৌঁছতে পারেননি। অবশ্যই তিনি এই ছবির মাধ্যমে একটা নতুন ভাবনা, নতুন আঙ্গিককে তুলে ধরেছেন। কিন্তু তবুও কিছু একটা মিসিং ছিল। আসলে জঙ্গল না কাটা, স্বরাজ গ্রাম, জাতিবাদ, সংবিধান, অহিংসা, বিদ্যুৎ প্রকল্প, সহ এত কিছু একসঙ্গে এই ছবিতে পরিচালক দেখাতে চেয়েছেন যে মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে যাচ্ছিল।

তবে মাঝের অংশটুকু বাদ দিলে, শুরু এবং শেষ, মূলত এক সেলে গান্ধী গডসের থাকা এবং তাঁদের মতাদর্শের লড়াই অনবদ্য। শেষ পর্যন্ত কে বদলে গেল, কী হল সেটা দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবেই।

ফলে একদম নতুন কিছুর সাক্ষী থাকতে, কাস্টিং আর সংলাপ দেখতে, ইতিহাস অন্যরকম হতে পারে কি সহ আরও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেখতে এই ছবি দেখা উচিত অন্তত একবার।

বায়োস্কোপ খবর

Latest News

পুলিশে চাকরি করেছি, আইন জানিনা ভাবাটা ভুল- অস্ত্র আইনে মামলা নিয়ে বললেন দেবাশিস হারলেও পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের জায়গা ধরে রাখল CSK, জিতে জায়গা মজবুত করল LSG দিনের শেষে জিততে ভালো লাগে, মনে হয় সব সিদ্ধান্ত সঠিক নিয়েছি- কেএল রাহুল ধনু, মকর, কুম্ভ, মীন রাশির মধ্যে আজ কারা লাকি? ২০ এপ্রিলের রাশিফল দেখে নিন প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন রাজকুমার রাও? বিতর্কে জবাব এল, ‘একটু ফিলার করাই…’ RCB-র আড্ডার মাঝে হঠাৎ কেন দীনেশ কার্তিকের স্ত্রীর কথা তুললেন বিরাট কোহলি? প্রথম দফায় 'বাম্পার' ভোটিং, ‘মোদী-মোদী’ বলে ভোট মানুষের, BJP-র গ্রাফ উঠছে- শাহ অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে ২০ থেকে একলাফে ৪-এ কেএল রাহুল, বেগুনি টুপি দেখছেন মুস্তাফিজ এককালে যেখানে পোস্টার মেরেছি সেখানে আজ রোড শো করছি-রাজনৈতিক সফর নিয়ে অকপট শাহ ওদের সঙ্গে আবার দেখা হবে- হেরেই ঘরের মাঠে বদলা নেওয়ার হুমকি দিলেন রুতুরাজ

Latest IPL News

দিনের শেষে জিততে ভালো লাগে, মনে হয় সব সিদ্ধান্ত সঠিক নিয়েছি- কেএল রাহুল RCB-র আড্ডার মাঝে হঠাৎ কেন দীনেশ কার্তিকের স্ত্রীর কথা তুললেন বিরাট কোহলি? ওদের সঙ্গে আবার দেখা হবে- হেরেই ঘরের মাঠে বদলা নেওয়ার হুমকি দিলেন রুতুরাজ লখনউয়ে মাহি ঝড়কে ফিকে করল রাহুল-ডি কক জুড়ি, হাসতে হাসতে জিতল LSG মুম্বইয়ে থাকার সময়ে MI-এর টিম হোটেলে থাকেন না রোহিত! জানেন কেন এমন করেন হিটম্যান IPL 2024: MI ক্যাম্পে ফাটল? ক্যাপ্টেন হার্দিকের সমালোচনায় দলের তারকা অল-রাউন্ডার পন্তকে ঘিরে DC-র খেলোয়াড়দের বাচ্চারা, ফিরল পেইনের বেবি সিটার স্লেজিংয়ের স্মৃতি 'তোমার প্রিয় ক্রিকেটার বুমরাহ'?প্রশ্ন ইশানের,ভক্তের উত্তরে বুমরাহ বললেন-গুড চয়েস স্মার্ট রিপ্লে সিস্টেম কীভাবে IPL 2024-এ বিপ্লব এনেছে- তুলে ধরলেন শ্রীনাথ ও মেনন পরের আইপিএলেও খেলবেন ধোনি? রায়নার উত্তর নিয়ে জল্পনা - ভিডিয়ো

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.