সামনেই ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’, তার আগে নিজেদের সম্পর্কের রসায়ন ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে পত্রলেখা জানিয়েছেন, যে তাঁদের সম্পর্কের প্রথমিক ভিত্তি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
তাঁদের বন্ধন ডিকোডিং
রাজকুমারের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বন্ধনের কথা বলতে গিয়ে পত্রলেখা বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই একমত ছিলাম যে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। বড় বা ছোট যাই হোক, আমরা সবকিছুই ভাগ করে নেব। আর এখন এই ধরনের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে দিয়েই আমরা নিত্যদিনের বাড়ির কাজগুলিও ভাগ করে নিই। এগুলির মধ্যে রান্না করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন মাজা সবই রয়েছে’।
রাজকুমারের কথা বলতে গিয়ে পত্রলেখা বলেন, ‘ও ভীষণই গুছিয়ে কাজ করে। এমনকি বাড়ির ছোটখাটো জিনসও কোথায় রাখা থাকে, সেটাও ও জানে। আমি রান্না করতে ভালোবাসি আর রাজকুমার সবসময় আমাকে বাসন মেজে সাহাশ্য করে। এই ছোট ছোট কাজগুলি ভাগ করে নেওয়াই আমাদের আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমরা সমতায় বিশ্বাস করি আর কাজেও সেটা প্রতিফলিত হয়।' পত্রলেখা আরও বলেন যে তিনি ভিমের #EqualVow প্রচারের জন্য তার স্বামীর রাজকুমারের সঙ্গে রয়েছেন যে বিষয়টিই বাড়ির কাজ সঙ্গী বা সঙ্গীনির সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কথা বলে।
আরও পড়ুন-জুনেদ-খুশির 'লাভিয়াপা' নাকি হিমেশের ‘ব্যাডঅ্যাস রবিকুমার’, বক্স অফিসে দুই ছবির হাল কী?
অন্যদিকে রাজকুমারের কথায় 'আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি যে ছোট্ট ছোট্ট কাজ থেকেই সমতার প্রয়োজন। পত্রলেখা যখন রান্নার কাজ করে তখন আমি বাসন মাজতে ভালোবাসি। বা যখন ও বাইরে থাকে তখন বাড়ির টুকিটাকি কাজ সামলাতে পছন্দ করি। এটা একে অপরের জন্য জীবনকে সহজ করার একটা বড় বিষয়। আমাদের জন্য, এটা নম্বর তোলার বিষয় তো নয়, বরং এটা একে অপরের পাশে থাকার বিষয়।
রাজকুমার-পত্রলেখা
প্রসঙ্গত রাজকুমার ও পত্রলেখা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে ডেট করছেন। এরপর ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর তাঁরা সাতপাতে পড়েন। সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা লিখেছিলেন, ‘অবশেষে ১১ বছরের ভালোবাসা, রোমান্স, বন্ধুত্ব ও মজা করার পর আজ আমরা বিয়ে করলাম। আমরা একে অপরের সবথেকে কাজের বন্ধুকে বিয়ে করলাম, এটা একটা আত্মার বন্ধন, আমরা এখন পরিবার। আমি তোমার আমার স্বামী পত্রলেখা বলে সম্বোধন করার চেয়ে বড় আনন্দ আর কিছু নেই। এই বন্ধন চিরকালের .. এবং তারও পরের’।
বহুল প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘সিটিলাইটস’ এবং ওয়েব সিরিজ "বোস: ডেড / অ্যালাইভ' সহ প্রকল্পে তাঁরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।