পরপর ব্যর্থ বলিউড সুপারস্টারেদের ছবি। করোনা-পরবর্তী সময়ে বলিউডে হিট ছবির সংখ্যা নেহাত হাতে গোনা। কেন এই ব্যর্থতা? কেন হিন্দি ছবির প্রতি আস্থা হারাচ্ছে দর্শক, অন্যদিকে দক্ষিণী ছবির বাজার গরম। বলিউডের এই দুরাবস্থার কারণ ব্যাখা করলেন রাকেশ রোশন।
বলিউডের অন্যতম অভিজ্ঞ এই পরিচালক মঙ্গলবারই ৭৩-এ পা দিয়েছেন। ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ (২০০০), ‘কোই মিল গায়া’ (২০০৩)-র মতো ব্লকবাস্টার ছবি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কেন আজকের জেনারেশনের অভিনেতারা সুপারস্টারের তকমা পাচ্ছেন না? কেন বক্স অফিসে কেবলই ব্যর্থতা- সব নিয়ে মুখ খুললেন হৃতিকের বাবা। রাকেশ রোশনের কথায়, আজকাল ছবিতে গানকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। যার জন্য ‘সুপারস্টার তৈরি করা এখন মুশকিলজনক কাজ’। তাঁর আরও দাবি, ‘বলিউডের উচিত পুষ্পা, আরআরআর-এর মতো ছবিগুলো দেখে শেখা। ছবির প্রত্যেক গান নিয়ে মাতামাতি’। পরিচালকদের বিঁধে তিনি বলেন, ‘সবাই মর্ডান সিনেমা তৈরির চেষ্টা করছে। যা দেশের এক শতাংশ জনতা দেখে’।
আরও পড়ুন- মহালয়ার দুর্গা সেজে ট্রোলড শুভশ্রী, 'কৃমিকীট'দের ধুয়ে দিলেন রাজ-ঘরণী
বলিউড হাঙ্গামাকে রাকেশ রোশন বলেন, ‘সত্যি বলতে বলিউডের ছবি চলছে না, কারণ লোকজন সেই ছবি বানাচ্ছে যা তাঁরা এবং তাঁদের বন্ধুরা দেখে। সেই সকল বিষয় নিয়ে ছবি বানানো হচ্ছে যার গ্রহণযোগ্যতা অনেক সংখ্যক মানুষের কাছে নেই। মানুষ ওই ছবিগুলোর সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে পারছে না।… আরকেটা কারণ হল ছবিতে এখন গানকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। আগে ছবিতে ৬টা গান থাকত। গানের উপর ভর করেই তো সুপারস্টার তৈরি হয়েছে… আজকের দিনে সুপারস্টার তৈরি করা মুশকিল। আপনারাই দেখুন, রাজেশ খান্না থেকে অমিতাভ বচ্চন- মানুষ তাঁদের গান আজও মনে রেখেছে। ছবির সাফল্যের পিছনে সুপারহিট গানের বড় অবদান থাকে’।
রাকেশের কথায়, তামিল,তেলুগু ভাষায় নির্মিত দক্ষিণী ছবিগুলো এখনও শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে আছে। তাঁরা জনতার কথা ভেবে ছবি বানাচ্ছে, তাই বাণিজ্যিকভাবে সফল হচ্ছে। পাশাপাশি আজকের দিনের ছবির প্রচার কৌশল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একাধিক শহরে ঘুরে ঘুরে ছবির প্রচারের ‘কোনও মাথামুণ্ডু নেই’, দাবি ‘করণ-অর্জুন’ পরিচালকের। এতে পুরোপুরিভাবে ‘পয়সা নষ্ট’ হয় বলেই মনে করেন তিনি।
রাকেশ রোশন পরিচালিত শেষ ছবি ‘কৃশ ৩’ (২০১৩)। প্রযোজক হিসাবে শেষ কাজ ‘কাবিল’ (২০১৭), গত কয়েক বছর ধরে লাইমলাইট থেকে দূরেই রয়েছেন হৃতিকের বাবা। কৃশ ৪ নিয়ে আপতত ব্যস্ত বর্ষীয়ান পরিচালক।