বলিউডে অভিনেতা এবং পরিচালক হিসেবে অন্যতম বড় নাম রাকেশ রোশন। ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সবসময় পাশে পেয়েছেন বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের। তবে সবথেকে বেশি যেটা সঙ্গে ছিল, সেটি হল মানসিক জোর। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েও শুধুমাত্র মনের জোরে তিনি ফিরে এসেছেন বাড়িতে, সেই গল্পই সম্প্রতি শোনালেন রাকেশ রোশন।
তিনি বলেন, ২০০০ সালে ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমা মুক্তির পরেই আমার জীবনে একটা দুর্ঘটনা ঘটে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের তরফ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হৃতিককে সিনেমার জন্য অফার দেয় তারা, না বলে দেওয়ায় সরাসরি আমাকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থাতেই আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাই।
রাকেশ বলেন, যখন আমি গুলি খেয়েছিলাম তখন গোটা ব্যাপারটাকে ভীষণ হালকা ভাবে নিয়েছিলাম। পরিবারের কাউকে বুঝতে দিইনি আমি ঠিক কতটা কষ্ট পাচ্ছি। আমার কষ্ট দেখলে ওরা সবাই ভেঙে পড়ত। হৃতিক তো বলিউড ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেছিল।
পরিচালক আরও বলেন, ২০১৮ সালে যখন হঠাৎ শুনলাম আমি ক্যানসারে আক্রান্ত, জানি না কেন আমি ভেঙে পড়িনি। প্রথম থেকেই মনে হয়েছিল আমার কোনও রোগ আছে, তবে যখন আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার জিভ কেটে ফেলে দেওয়া হবে তখন ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
রাকেশের কথায়, আমি যেদিন অপারেশন করতে গিয়েছিলাম সেদিন সকালেও হৃতিকের সঙ্গে জিমে গিয়েছিলাম। দুজনে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর তারপর হাসিমুখে আমি অপারেশন করাতে যাই। এই মনের জোরটুকু ছিল বলেই আমি বাড়ি ফিরতে পেরেছি বারবার।
আরও পড়ুন: লাভিয়াপ্পা- এ খুশি-জুনায়েদের অভিনয়ে মুগ্ধ জাভেদ আখতার, ধর্মেন্দ্র, কাজল
আরও পড়ুন: জন্মদিনে অভিষেককে চুমুতে ভরালেন ফারাহ খান, হতবাক হয়ে কী করলেন বার্থডে বয়?
ডকুমেন্টারি সিরিজ দ্যা রোশনস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হৃতিক বলেন, আমার এখনও মনে পড়ছে না যে আমার বাবা একটুও ভয় পেয়েছিল। আমি সবসময় আমার বাবাকে হাসিমুখে দেখেছি। তবে একটা সময় যখন সাদা চাদর লাল হয়ে যাচ্ছিল রক্তে, তখন আমি ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম। পরের মুহূর্তেই বাবার হাসি মুখ দেখে মনে হয়েছিল, বাবা ঠিক পারবে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি পুনরায় সারাদিন জুড়ে মুক্তি পায় কহো না প্যায়ার হ্যায়। ২০২৫ সালে হৃতিকের ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাকেশ রোশন এই সিনেমাটি পুনরায় মুক্তি দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করেন।