বিগ বস মারাঠির ঘর থেকে বেরিয়ে থেকে টানা খবরে আছেন রাখি সাওয়ান্ত। প্রথমে তো মায়ের ক্যানসার ও টিউমারের খবর দেন। এরপরই সামনে আসে আদিল খান দুরানির সঙ্গে তাঁর গোপন বিয়ের খবর। তারপর আদিলের এই বিয়ে না মেনে নেওয়া নিয়ে আরেক নাটক! সে যাই হোক সম্প্রতি মিডিয়ার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে রাখি জানিয়েছেন, বিয়ে নিয়ে কোনও আয়োজন এখন করবেন না তাঁরা। কারণ তাঁর মা এখনও হাসাপাতালে।
হাসপাতালের বাইরে পাপারাৎজিদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় রাখিকে। তিনি সেখানে উপস্থিত সকলকে জানান আম্বানিরা (মুকেশ আম্বানি ধারণা করা হচ্ছে) তাঁর মায়ের চিকিৎসার খরচ বহন করছে। ভিডিয়োতে রাখিকে বলতে শোনা যায়, ‘মায়ের চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য আম্বানিজিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যেগুলোর দাম বেশি, সেগুলোতে একটু কমিয়ে তিনি আমাদের সাহায্য করছেন।’ রাখি আরও জানান মাকে ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
সঙ্গে পরদেশিয়া গার্লকে বলতে শোনা যায়, ‘মাকে ভালো করে তোলার জন্যই আমি এসব করছি। টাকা পয়সাটা কোনও ব্যাপারই না। আপানারা আমার মায়ের জন্য একটু প্রার্থনা করুন।’
রাখি সাওয়ান্তের মা ব্রেন টিউমার এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন রাখি। তাঁকে মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা সঙ্গীন হওয়ায় রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে। সপ্তাহখানেক আগেই রাখি ইনস্টাগ্রামে জানান, ‘মা ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। আমরা এইমাত্র জানতে পেরেছি যে মাথায় টিউমারও আছে।’। সঙ্গে যোগ করেন, বিগ বস মারাঠির ঘরে থাকাকালীন তাঁকে মায়ের অসুস্থতা সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। হাসপাতালে অচেতন হয়ে শুয়ে থাকা মায়ের ভিডিয়োও শেয়ার করে নিয়ে ক্যাপশনে রাখি লিখেছিলেন, ‘মা হাসপাতালে। একটুও ভালো নেই। সবাই প্রার্থনা করুন।’
প্রসঙ্গত, রাখি সাওয়ান্তের বিয়ের খবর সামনে এসেছে গত সপ্তাহেই। তাঁদের আইনি বিয়ের সময় তোলা স্টিল ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। জানা গিয়েছে ২৯ মে, ২০২২-এ মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারাতে রাখি সাওয়ান্তের বাড়িতে তিনি বিয়ে করেছিলেন আদিল খান দুরানিকে। বিয়ের রেজিস্ট্রির কাগজে দেখা যাচ্ছে নাম বদলে ফেলেছেন। রাখির নাম লেখা ‘রাখি সাওয়ান্ত ফতিমা’ হিসাবে। সোমবারই এই বিয়েকে মান্যতা দিয়েছেন আদিল কদিন অস্বীকার করার পর। আদিল লেখেন, ‘আমার তরফ থেকে অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট, আমি কোনওদিন বলিনি রাখি আমি তোমাকে বিয়ে করিনি। কিছু জিনিস হ্যান্ডেল করার ছিল, তাই চুপ করে ছিলাম। হ্যাপি ম্যারেড লাইফ টু আস রাখি (পাপ্পুডি)।’