বিপদ বাড়ল রাখি সাওয়ান্তের স্বামী আদিল খান দুরানির। রাখির তরফে আনা একাধিক অভিযোগের জেরে আপতত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আদিল। এর মাঝেই নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন অভিযুক্ত। আদিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করল এক ইরানি মহিলা। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকাকালীনই জামিন অযোগ্য ধারায় আদিলের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৪১৭, ৪২০,৫০৪ এবং ৫০৬ ধারা অনুসারে আদিলের বিরুদ্ধে নালিশ ঠুকেছেন ওই নির্যাতিতা। কর্নাটকের মহীশূরের ভিভি পুরম পুলিশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদেশিনী।
ওই ইরানি তরুণীর অভিযোগ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আদিল তাঁকে লাগাতার ধর্ষণ করেছেন। মহীশূরে একসঙ্গে থাকছেন তাঁরা। পাঁচ মাস আগে যখন বিয়ের কথা বলেন তরুণী, তখন তা নাকোচ করে আদিল জানান ‘এমন অনেক মেয়ের সঙ্গেই আমার সম্পর্ক রয়েছে’। এরপর ঘনিষ্ঠ ছবি ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নির্যাতিতাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন আদিল।
জানুয়ারি মাসেই রাখি ফাঁস করেন তিনি আদিলের বিবাহিতা স্ত্রী। দুজনের প্রেম সম্পর্কের কথা সকলেই জানত, তবে আট মাস আগে গোপনে বিয়ে করেছিলেন আদিল ও রাখি তা গোপন রেখেছিলেন তাঁরা। আদিলের সঙ্গে বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে আনেন রাখি, সঙ্গে জানান ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণ করেছেন তিনি। তবে তাঁর দাম্পত্য সম্পর্ক টালমাটাল। এরপর চলতি মাসের শুরুতেই আদিলের বিরুদ্ধে পুলিশে নালিশ করেন রাখি। আপ্রকৃত সেক্স, শারীরিক নির্যাতন, পরকীয়া, টাকা ও গয়না চুরি এবং পণ নেওয়ার মতো অভিযোগ এনেছেন রাখি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত ৭ই গ্রেফতার হন আদিল।
এখানেই শেষ নয়, রাখির অভিযোগ- ‘আমার নগ্ন ভিডিয়ো শ্যুট করেছে আদিল, এবং লোকজনকে সেগুলো বেচেছে। আমি সাইবার ক্রাইমে সেই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি’। রাখির দাবি, তনু চান্দেল নামে একজনের সঙ্গে আপতত লিভ ইন করছেন আদিল। মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে রাখি বলেন, ‘আমাকে ঠকিয়েছে আদিল, ওর প্রথম বিয়ের কার্ড,ডিভোর্স পেপার সব হাতে এসেছে’।
পুলিশের তথ্যানুসারে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে পরিচয় আদিল ও রাখির। এরপর একসঙ্গে একটি বিজনেস অ্যাকাউন্ট খোলেন দুজনে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুন মাসে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে ১.৫ কোটি টাকা তুলে নেন আদিল, নতুন গাড়ির কেনবার নাম করে। সেই টাকা এখনও ফেরত দেয়নি আদিল, জানান রাখি।