স্বামী আদিল খান দুরানিকে ভুলে দুবাইতে অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমি খুলছেন রাখি সাওয়ান্ত। গত ১ মার্চ থেকে রাখির অ্যাক্টিং অ্যাকাডেমি পথ চলা শুরু করেছে। সোমবার রাতে সেই অ্যাক্টিং অ্য়াকাডেমির কাজ সেরে মুম্বই ফেরেন রাখি। বিমানবন্দরে পাপারাৎজির সঙ্গে কথা বলার সময় রাখি জানান, দুবাইতে তিনি একটি নতুন বাড়ি এবং গাড়ি কিনেছেন। আর এরপরই বিমানবন্দরের একটি জায়গা দেখিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাখি স্বামী আদিলের কথা মনে করে কেঁদে ভাসান। বলেন, 'এটাই সেই জায়গা না, যেখানে আমি আদিল খান দুররানিকে গোলাপের পাপড়ি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলাম'।
সোমবার সন্ধেয় বিমানবন্দরে রাখি সাওয়ান্তকে কালো জিমের পোশাকে দেখা গিয়েছে। রাখির স্বামী তাঁর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে এই মুহূর্তে জেলে বন্দি, এছাড়াও আদিল খান দুরানির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। বিমানবন্দকে কথা বলার সময় স্বামী আদিল ছাড়াও সাম্প্রতিক প্রয়াত মাকেও মনে করেন রাখি। বলেন, ‘কিছুদিন আগেই মাকে দুবাইতে বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলাম, আর এখন মা আমার সঙ্গে নেই।’ সকলকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখি বলেন, ‘আমার জীবন থেকে সমস্ত রং মুছে গিয়েছে, কিন্তু আপনাদের জীবনে সমস্ত রং বেঁচে থাকুক।’
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইনস্টাগ্রামে রাখি জানিয়েছিলেন, আল কারামাতে তিনি একটি অ্যাকাডেমি খুলছেন। যেখানে উপসাগরীয় এবং সংলগ্ন অন্যান্য দেশের তরুণ-তরুণী যাঁরা বিনোদন দুনিয়ায় কাজ করতে ইচ্ছুক এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার গড়া নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সম্প্রতি, জেলবন্দি স্বামী আদিল খান দুরাানির মাইসুরুর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে গিয়ে তাঁকে হতাশ হতে হয়। স্বামী আদিলের আসল রূপ জানতে পেরে হতাশায় কেঁদে ভাসান রাখি। জানতে পারেন, আদিল খান দুরানির মাথায় আদপে কোনও চুল নেই, পুরোটাই টাক। আদিল নাকি আবার উভকামী। বলেন, মাইসুরুতে গিয়ে স্বামীর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তাঁর মাথার টাকের কথা জানতে পেরেছেন তিনি। জেনেছেন আদিল আসলে বস্তিতে থাকেন, তাঁর কোনও ব্যবসা নেই, তিনি আসলে পেশায় গাড়ি চালক। অথচ রাখির দাবি, তাঁর কাছে আদিল খান দুরানি কোটি টাকার গল্প শুনিয়েছিলেন, যা আসলে মিথ্য, পুরোটাই প্রতারণা।