বহু বছর ধরেই চর্চার বিষয়ে পরিচালক রাম গোপাল বর্মার সঙ্গে করণ জোহরের সম্পর্কের রসায়ন। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে একে ওপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন এই দু'জন। নেটমাধ্যমে যদি রাম গোপাল বর্মা করণের কোনও ছবির উদ্দেশে কটাক্ষ করেন তো পরমুহূর্তে পাল্টা জবাব ভেসে এসেছে করণের তরফেও। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের জন্য করণ জোহরের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়ন ঠিক কেমন তা নিয়ে মুখ খুললেন 'রামু'। এ প্রসঙ্গে 'সত্যা'-র পরিচালক জানালেন তাঁর সঙ্গে কারোরই তেমন মনোমালিন্য নেই। নিজেই উল্লেখ করলেন সেই তালিকায় রয়েছেন করণ জোহরের নামও। 'রামু'-র যুক্তি,তিনি কারোর সঙ্গেই এতটাও আন্তরিকভাবে মেলামেশা করেন না যে কেউ তাঁকে দারুণভাবে ভালোবাসা কিংবা ঘৃণার সুযোগ পাবে। করণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে দিব্যি ভালো সেই কথার যুক্তি হিসেবে তিনি জানান, 'গত বছর করণ আমাকে ফোন করেছিল। জানিয়েছিল যে একটি ছবি তৈরি করছে তার জন্য আমার 'ভূত' ছবির নামখানা ওঁর লাগবে। আমি সঙ্গেসঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। দিয়ে দিলাম অনুমতি। তাই এর থেকেই তো স্পষ্ট যে করণের সঙ্গে আমার তেমন কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য নেই!' করণও অবশ্য প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রাম গোপাল বর্মাকে। ঘটে করে নেটমাধ্যমে 'রামু'-র প্রতি এটাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেওছিলেন যে তাঁর নিজের ২৫ বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে 'রামু'-র মতো এতো উদার কাউকে দেখেননি তিনি।
অবশ্য কয়েক বছর পিছিয়ে গেলে রাম গোপাল-করণের মধ্যে 'নারদ নারদ' বিষয়টি খুল্লম খুল্লাভাবে প্রকাশ পেয়েছিল সবার সামনেই। করণের ' স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার' ছবিকে তীক্ষ্ণ ভাষায় কটাক্ষ করার জবাবে 'রামু'-কে 'জঘন্য ছবির পরিচালক'-এর তকমা দিতে ছাড়েননি করণ। আবার করণের 'মাই নাম ইজ খান-কে' ব্যাঙ করার সুবাদে 'রামু'-কে বিস্কুট বিক্রির পরামর্শ দিয়েছিলেন করণ। কারণ 'কুছ কুছ হোতা হ্যায়'-এর পরিচালকের মনে হয়েছিল,' রাম গোপাল বর্মার বর্তমানে কেরিয়ারের যা অবস্থা তাতে তো মনে হয় না তিনি আর ছবি তৈরি করছেন। তার থেকে ভালো যদি তিনি বিস্কুট বেচা শুরু করেন।'
বলিউডের ব্যাপার স্যাপার 'সত্যিই সেলুকাস!'