সামনে এল অক্ষয় কুমারের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘রাম সেতু’র ট্রেলার। গত কয়েকদিন ধরেই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ছবি। ‘রাম সেতু’র অ্যাকশন-প্যাক ট্রেলারে উঠে এল মাত্র তিন দিনে আর্কিওলজিস্ট অক্ষয়ের রাম সেতু বাঁচানোর মরণ-বাঁচন লড়াই। ছবিতে অক্ষয় ছাড়াও রয়েছেন নুসরত ভারুচা, জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ, নাসের, এবং সত্যা দেব।
ট্রেলারের শুরুতেই দেখা যায় কেন্দ্র সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে ‘রাম সেতু’কে ভেঙে ফেলবার। ‘বাহুবলী’ খ্যাত অভিনেতা নাসেরের মুখে শোনা যায়, ‘ভারত রামের ভরসাতেই চলে’। এই ধ্যানধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো সহজ নয়, তাও অজানা নয় তাঁর কাছে। অক্ষয় কুমারকে ‘রাম সেতু'র ইতিহাস খুঁজে বার করবার অভিযানে পাঠাবেন নাসের। যদিও মিশনে পৌঁছে অক্ষয় উপলব্ধি করবেন আদতে মরবার জন্যই এই প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযান পাঠানো হয়েছে তাঁদের। কিন্তু হার মানতে না-রাজ তিনি। এই লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গী জ্যাকলিন এবং সত্যা দেব। আর্কিওলজিস্ট অক্ষয়ের কাছে ইতিহাসের অর্থ হল ‘it thus happened’ (এটা অবশ্যই ঘটেছে)। তাই ‘রাম সেতু’ বাঁচাতে বদ্ধপরিকর তিনি। ট্রেলারের শেষে দেখা যায়, সমুদ্র থেকে একটি বিরাট পাথর ঘাড়ে করে বেরিয়ে আসছেন অক্ষয়, এবং তাঁরই কন্ঠে শোনা যায়- ‘পৃথিবীতে ভগবান শ্রীরামের লাখো মন্দির রয়েছে, তবে সেতু একটাই’।
কবে রাম সেতু তৈরি হয়েছিল? আদৌ কি এটির কোনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে? নাকি পুরোটাই মহাকাব্যের গল্প? সেই নিয়ে অনেকে অনেক রকম মতামত দিয়েছেন। তামিলনাড়ুর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে রামনাথপুরাম জেলার একটি দ্বীপ পাম্বান (যা রামেশ্বরম নামেও পরিচিত)। এই দ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমের মান্নার দ্বীপ পর্যন্ত অগভীর চুনাপাথরের একটি সেতু চলে গিয়েছে সমুদ্রের নীচ দিয়ে। ভূতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া যায় যে, একসময় এই সেতু ভারত আর শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছিল স্থলপথে। বাল্মীকি রচিত রামায়ণে এ সেতুর উল্লেখ পাওয়া যায়। সীতাকে অপরহণ করে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল রাবণ। স্ত্রীকে উদ্ধার করতে লঙ্কা যাবার পথে রামের বানর সেনা এটি নির্মাণ করে বলে জানা যায়।
যুগ যুগ ধরে রাম সেতু একটা মিথ, সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-গবেষণার শেষ নেই। তবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এটি পবিত্র, সেই ধর্মীয় ভাবাবেগ কতটা স্পষ্টভাবে উঠে আসবে এই ছবিতে তা দেখবার।
অভিষেক শর্মা পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পাবে চলতি বছরের ২৫শে অক্টোবর।