রমেশ সিপ্পি পরিচালিত অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম সোলে এতবছর পরে এসেও ভীষণ জনপ্রিয় দর্শকদের মধ্যে। এটি কেবল একটি ব্লকবাস্টার ছিল না, এমন এক মাশালা ফিল্ম যা এখনও আইকন হিসেবে ধরা হয়। চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সেলিম-জাভেদ জুটি।
সম্প্রতি, অভিনেতা-পরিচালক শচীন পিলগাঁওকর স্মৃতির পথে হেঁটে এই আইকনিক সিনেমা নিয়ে ভাগ করে নিলেন এক অজানা কথা। তিনি বলেন যে, রমেশ সেটে আসতেন শুধুমাত্র অমিতাভ, ধর্মেন্দ্র এবং সঞ্জীবের মতো হেভিওয়েটদের পরিচালনা করতে।
আরও পড়ুন: করিনার ইচ্ছে ছিল ‘পাপ্পু’ রাহুলকে ডেট করার, সুযোগ পেয়ে গান্ধী-পুত্রর নামে সইফ করে ফেলল বড় মন্তব্য
‘রমেশজি কিছু অ্যাকশন সিকোয়েন্সের শ্যুট করার জন্য একটি দ্বিতীয় ইউনিট বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যাতে প্রধান তারকারা ছিল না। এগুলো ছিল শুধু পাসিং শট। এ জন্য তিনি স্টান্ট ফিল্মের পরিচালক মোহাম্মদ আলী ভাইকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি একজন বিখ্যাত স্টান্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ছিলেন এবং তার সাথে ছিলেন একজন অ্যাকশন ডিরেক্টর আজিম ভাই। এবং এর পরে হলিউড থেকে জিম এবং জেরি দুটি লোককে পেয়েছিল। তিনি (রমেশ) চেয়েছিলেন যে দু'জন ব্যক্তি তার প্রতিনিধিত্ব করবে কারণ এই লোকেরা অন্য দেশ থেকে এসেছে। তারা কীভাবে চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে জানবে এবং কী ঘটছে? সেই সময়ে, ইউনিটে মাত্র দুইজন বেকার (অকেজো) লোক ছিল: একজন আমজাদ খান এবং অন্যজন আমি’, তিনি ইউটিউব চ্যানেল খান মে কেয়া হ্যায়কে জানান। আমজাদ খান ছবিতে গব্বরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং শচীনকে দেখা যায় আহমেদের চরিত্রে।
শচীন যোগ করেছেন যে রমেশ তাঁর এবং আমজাদের পরিচালনার প্রতি আগ্রহ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। ‘তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, আমরা তাঁকে প্রতিনিধিত্ব করতে রাজি আছি কি না। অন্ধ লোকটি একটি চোখ চেয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ সে দুটি পেয়ে যায়’, এই সুযোগে শোলে-র সেটে আরও বেশি বেশি করে থাকার সুযোগ পেয়ে যায়। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও সামনে থেকে দেখার।
আরও পড়ুন: ‘এবার বন্ধ হোক’! ঐশ্বর্যর সঙ্গে দুর্ব্যবহার অমিতাভের, ভিডিয়ো ছড়াতেই রাগলেন সিমি
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে ট্রেন ডাকাতির দৃশ্য, প্যানভেলের কাছে বোম্বে-পুনা রেলপথে শুট করা হয়েছিল, এবং সেটা রমেশ সিপ্পি ছাড়াই শ্যুট করা হয়েছিল। ‘তাঁর তখনই আসার কথা ছিল যখন ধরমজি, অমিতজি এবং হরি ভাই (সঞ্জীব) কাজ করতেন। রমেশজি সেই অংশগুলি শ্যুট করেছিলেন, এবং আমরা বাকি দৃশ্যগুলি পরিচালনা করেছি।’, দাবি শচীনের।