বীরভূমের রামপুরহাট এলাকার বগটুই গ্রামের ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়া তুঙ্গে। তৃণমূলের উপপ্রধান খুন হওয়ার পরেই ওই গ্রামে একটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে অন্তত ১০ জন মারা যান। অনেকেরই বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।
দিনভর এই ঘটনার সূত্রে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমের তরফে। এই তালিকায় ছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্নও। টিভিনাইন বাংলার তরফে তাঁরা সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ‘আমাদের কতটা সৌভাগ্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে অনেক কিছু ভাল হচ্ছে। কিন্তু, নানারকমভাবে বিরোধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে।’ এই ঘটনা থেকে বিরোধীরা যাতে রাজনৈতিক সুযোগ নিতে না পারে, সংবাদমাধ্যমের কাছে তেমনই আর্জি জানান এই শিল্পী।
তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছিল। এতেই রাজ্যের সরকার ও প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠছে। সেই সূত্রেই শুভাপ্রসন্নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সংবাদমাধ্যমটির তরফে।
তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘এটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মানুষের মৃত্যু কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’ ঘটনাটির তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এই ঘটনায় হয়তো কোনও প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করছে। কিন্তু প্রতিশোধের জন্য এ ভাবে মানুষকে পুড়িয়ে খুন করার উদাহরণ খুব বেশি নেই।’ রাজ্যবাসীর কাছে তিনি শান্তি বজায় রাখার আবেদনও করেছেন।