‘চেঙ্গিজ’ ও জিতকে নিয়ে একের পর শ্লেষাত্মক মন্তব্য করা জারি রয়েছে, এর মাঝেই ফেসবুকে ফের রাণা সরকারের নিশানায় অনিবার্ণ ভট্টাচর্য। এই টলি অভিনেতাকে আগেও বহুবার বিদ্রুপ করেছে করেছেন ‘মানবজমিন’ প্রযোজক। ‘গরীবের আল পাচিনো’ বলে অনির্বাণকে বিঁধেছিলেন তিনি, আর আল পাচিনোর জন্মদিনের দিন কয়েকের মধ্যেই ফের দু'জনের ছবি পাশাপাশি পোস্ট করে অনিবার্ণকে বিঁধলেন ‘জাতিস্মর’ প্রযোজক।
এদিন ফেসবুকে অনিবার্ণকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে রাণা সরকার লেখেন, ‘আমি চাই তুমি আল পাচিনোর মতো বড় হও। শুধু বাংলা নয়, বলিউড নয়, ইরানি সিনেমা, কোরিয়ান সিনেমা, জাপানী সিনেমা হয়ে তুমি হলিউড জয় করে নাও।’ এরপরেই বিস্ফোরক রাণা। বিদ্রুপ করে তিনি লেখেন, ‘….ওটিটি আর সুরক্ষিত চুক্তির লোভ থেকে নিজেকে উদ্ধার করে বেরিয়ে এসো। তুমি পারবে গরিবের আল পাচিনোর সীমাবদ্ধতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে।’
টলি তারকাদের নিয়ে ট্রোল করতে ওস্তাদ রাণা সরকার। সে কথা অজানা নয় নেটিজেনদেরও। অনেকে বিরক্ত হয়ে প্রযোজককে ‘টলিউডের কেআরকে’র তকমা পর্যন্ত দিয়ে ফেলেছেন। তাতেও থেমে নেই রাণা সরকার। এদিন অনির্বাণের উদ্দেশে তিনি আরও লেখেন, ‘কাল চেঙ্গিজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, তাই আজ তোমায় আল পাচিনোর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা শুধু এই দেশেতেই থাকবো না, দুনিয়ার সিনেমা মজদুর একদিন এক হবে’।
টলিউডের বহু তারকার সঙ্গে আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক প্রযোজক রাণা সরকারে। দেব, জিৎ থেকে প্রসেনজিৎ-- রাণার রোষ থেকে বাদ যান না কেউই। গত কয়েক মাস ধরেই অনির্বাণকে নিয়ে ইনিয়ে-বিনিয়ে মন্তব্য করে চলছেন রাণা। কখনও অনিবার্ণের ছবির বক্স অফিস ব্যর্থতা তো কখনও তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রাক্তন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের অভিযোগের কথা টেনে আনেন প্রযোজক। কখনও আবার লেখেন, ‘বাদল সরকারের লেখা নাটকের জন্য সেরা সংলাপের পুরস্কার পেল অনির্বাণ’।
রাণা সরকারের এই স্টেটাস নিয়ে ফেসবুকের মন্তব্য বাক্স ধুন্ধুমার কাণ্ড। অনির্বাণ ভক্তরা ট্রোল করতে ছাড়েননি প্রযোজককে। একজন লেখেন, ‘কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয় না’। অপর এক নেটিজেন লেখেন, ‘আপনি এত ট্রোল করে কি পান মশাই’। এক নেটিজেন আবার লেখেন, ‘লোভ তো সবাইকে গ্রাস করেছে, আপনাকেও করেছে’। এক অনিবার্ণ ভক্তের কথায়, ‘আপনি সবসময় সবাইকে নিয়ে খারাপ লেখেন, একবার তো কাউকে নিয়ে ভালো লিখুন’।