প্রতীক সেন এবং সোনামণি সাহাকে নিয়ে ছবি তৈরি করছেন প্রযোজক রানা সরকার। ধারাবাহিকের এই জনপ্রিয় জুটিকে বড় পর্দায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। শ্যুটও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে আচমকাই থমকে গেল 'বেহায়া'র কাজ।
শোনা গিয়েছে, প্রযোজকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সাপ্লায়ার্স গিল্ডের সম্পাদক। তাঁর অভিযোগ, শ্যুটের জন্য লাইট-সহ আরও অন্যান্য জিনিসপত্র নিজেও তাঁদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেননি রানা। সত্যিই কি তাই? টাকা না মেটানোর জন্যই বন্ধ হতে চলেছে পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ছবির শ্যুট?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে রানা বলেন, 'আমি যদি সত্যিই প্রতারণা করে থাকি, তবে ওঁদের আইনের সাহায্য নেওয়া উচিত। যা বলা হচ্ছে, তা সত্যি নয়। আমি আগেই টাকা দিয়ে দিয়েছি। তার পরেও আমার ছবির কাজে এ রকম সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাই শ্যুট বন্ধ করে দিয়েছি।'
(আরও পড়ুন: প্রতীকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই, নিয়মিত 'সাহেবের চিঠি' দেখছি: সোনামণি)
প্রযোজকের দাবি, তাঁকে অকারণে হেনস্থা করা হচ্ছে। এমনকী আসছে হুমকিও। ইতিমধ্যেই পুলিশ এবং আইনের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'একটি ছবি তৈরির জন্য আমরা সবাই মনপ্রাণ দিয়ে কাজ করি। তার পরেও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে? আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, অন্য কোনও জায়গা থেকে শ্যুটের লাইট নিয়ে এলে তা ভেঙে দেওয়া হবে। অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা হচ্ছে!'
(আরও পড়ুন: ‘মোহর’ সোনামণির সঙ্গে খুল্লমখুল্লা প্রেম? মুখ খুললেন প্রতীক সেন)
আইনি পথে হেঁটে এই সমস্যার সুরাহা করতে চান রানা। তাঁর কথায়, 'এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ করা হলেই কাজ শুরু হবে। আর তা না হলে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের ছবির শ্যুটও বন্ধ হয়ে যাবে।'
রানা জানিয়েছেন, সুযোগ পেলে বাংলার বাইরে গিয়ে কাজ করবেন তিনি। নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে ছবি তৈরি করাই আপাতত তাঁর মূল লক্ষ্য।