বিগত বেশ কিছুদিন ধরে চর্চায় রয়েছে বাংলায় বাংলা গান শোনা প্রসঙ্গ। একাধিক শিল্পীরা মঞ্চে থেকেই ভোজপুরি বা হিন্দি গান গাওয়ার আবদার খারিজ করেছেন। এবার সেই প্রসঙ্গে সরব হলেন অঙ্ক কী কঠিন ছবির প্রযোজক রানা সরকার। তিনি কী লিখলেন এদিন বাংলা গান এবং বাঙালিদের নিয়ে?
কী বললেন রানা সরকার বাংলা গান নিয়ে?
এদিন এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে একটি পোস্ট করেন বাঙালিদের ভোজপুরি এবং পঞ্জাবি গান প্রীতি নিয়ে। সেখানেই তিনি লেখেন, 'শুধু ভোজপুরি না, কলকাতার বাঙালির কাছে বিভিন্ন পঞ্জাবি গায়ক ও তাদের গান এখন ট্রেন্ডিং, অনেক দিন ধরেই দালের মেহেন্দি, মিকা সিং, হানি সিং এবং এখন দিলজিৎ দোসাঁঝ, করণ আঁজলা এদের নিয়ে মাতামাতি চুড়ান্ত পর্যায়ে। পাঞ্জাবি গায়কদের প্রতিভা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু হিন্দির পর পঞ্জাবি গানের প্রতি বাঙালির মোহ মূলত ক্লাব কালচার পার্টি কালচার থেকেই এসেছে।'
এদিন অঙ্ক কী কঠিন ছবির প্রযোজক তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, 'আমরা এখনও নিজেকে প্রশ্ন করিনা কেন বাঙালি গায়ক গায়িকাদের বাংলা হিট নাম্বারগুলো হিন্দি বা পঞ্জাবি এলাকায় কেউ শোনে না কেন? আর বাংলায় কি গানের অভাব না জনপ্রিয় গায়কের অভাব? নতুন বছরে এই নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। জয় বাংলা।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, কিছু দিন আগে ফুলকি ধারাবাহিকের নায়িকা দিব্যাণী মণ্ডলের কাছে ভোজপুরি গানের আবদার আসতেই তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন 'কী বলছ? ভোজপুরি তো হবে না। বিহার নয়। পশ্চিমবঙ্গে এসে বিহারের গান শুনতে চাইছে'
অন্যদিকে ইমন চক্রবর্তীও তাঁর রাজারহাটের শো থেকে প্রায় একই আবদার পেয়ে বলেন, 'জোরের সঙ্গে বলা যে আমি বাংলা গান শুনব না, এটা অন্য কোন জায়গা হলে চুলের মুঠি ধরে ক্যাম্পাস থেকে বার করে দিত। বাংলায় থাকছ। বাংলায় রোজগার করছ। বাংলা গান শুনবেনা বলছ? ফালতু জিনিস করবে না। এই রাজ্যের নাম বাংলা। পাঞ্জাবি গান শোনো, মারাঠি গান শোনো, ইংরেজি গান শোনো বাড়িতে। কিন্তু তোমার সাহস হল কী করে আমায় বাংলা গান গাইতে না বলতে? সাহস কে দিল? এই ভন্ডামিগুলো করো না। সাহস থাকলে স্টেজে এসো। বাংলায় থাকছ, বাংলায় চাকরি করছ, বাংলায় রোজগার করছ এদিকে বাংলা গান শুনবে না বলছ!'