‘চিনে বাদাম’ ছবির মুক্তির মাত্র পাঁচ দিন বাকি। তার আগেই ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন নায়ক যশ দাশগুপ্ত। ছবির নির্মাতাদের সঙ্গে ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’-এর কারণেই তিনি সের যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।
এর পর থেকেই রীতিমতো বিতর্ক টলিউডে। কারণ এই প্রসঙ্গে তোপ দেগেছেন প্রযোজক রানা সরকার। যশের টুইটের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘টাকা পেয়ে গিয়েছি আর কী চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক।’ এখানেই থামেননি তিনি। এর পরে লেখেন, এনা এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার পাশে আছেন তিনি।
টলিউডের বিভিন্ন প্রসঙ্গে এর আগেও মুখ খুলেছেন রানা। পছন্দ না হলে সমালোচনা করতে কসুর করেননি। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে পর্যন্ত পড়তে হয়েছিল রানার সমালোচনার মুখে। সেখানে যশের ঘটনায় যে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন না, তা বোঝাই যায়।
কলকাতার সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, রানা বলেন, যশ বা অন্য নায়কদের নিজেদের বিরাট ভাবতে পারেন। কিন্তু তাঁদের অভিনয় দেখতে দর্শকরা হলে যান না। রানার বক্তব্য, তা হলে তাঁদের এমন বাহানা কেন বাকিরা সহ্য করবেন?
ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রযোজক তথা ছবির নায়িকা এনা সাহার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, দুর্গাপুরে প্রচারে গিয়েছেন। যশ তাঁকে আলাদা করে কিছু জানাননি। এমনকী মেসেজও করেননি।
লকডাউনের পরে এনার প্রযোজনা সংস্থা শুধুমাত্র যশের সঙ্গে তিনটি ছবি করেছে। ‘এসওএস কলকাতা’, ‘চিনেবাদাম’। পরের ছবি ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছু দেখেননি’-র শ্যুটিংও শেষ বলে শোনা গিয়েছে। সব চুক্তিও হয়ে আছে বলেই জানা গিয়েছে।
এনার প্রশ্ন, তাঁর প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্স’ হচ্ছে এটা তিনটি ছবিতে কাজ করার পরে যশ বুঝতে পারলেন কেন!’