বাংলা ছবির দর্শকরা এমনিতেই তিনটে টিমে বিভক্ত- প্রসেনজিৎ, দেব আর জিৎ। মাঝেমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বাংলার এই তিন সুপারস্টারের অনুরাগীরা। আর সেই বিতর্ককেই একটু যেন খুচিয়ে দিলেন প্রযোজক রাণা সরকার। তবে তাঁর সেই পোস্টে কিন্তু হেব্বি বিতর্ক। রে রে করে তেড়ে এলেন ট্রোলাররা। রাণা অবশ্য নিজেও জানতেন, এবারও ট্রোলিং তাঁর পিছু ছাড়বে না। তাই তো লিখেই দিয়েছিলেন, ‘যাঁরা খিস্তি করবেন তাঁরা বানান ঠিক করে লিখুন। প্রয়োজনে গুগলের সাহায্য নিন’।
কী লিখলেন রাণা ফেসবুকে?
রানার মুখে প্রসেনজিতের প্রশংসা অনেকটা ‘ভূতের মুখে রাম নামের মতো’। সে যাই হোক রাণা লিখলেন-
‘#Jubilee দেখার পর বুম্বাদার অভিনয়ের প্রেমে পড়ে গেছি, মনে হচ্ছে পুরোনো অভিযোগগুলো আর মনে রেখে লাভ নেই। বুম্বাদা ঠিক ডিরেক্টরের হাতে পড়লে আরও দশ বছর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে অনেক কিছু দিতে পারবে। আপাতত সৃজিতের দশম অবতার-এর জন্য অপেক্ষা করব, ওটা একটা আশার জায়গা। দেব আর বুম্বাদাই এখন টলিউডের ভরসা।’

রাণা-র মুখে আচমকাই দেব আর জিতের প্রশংসা।
প্রসেনজিতকে নিয়ে রাণার এর আগের পোস্ট:
এর আগে প্রসেনজিৎকে নিয়ে কটাক্ষ করে রাণা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘নিজের ছবিতে ২৫ লক্ষ টাকা রেমুনারেশন নেন বিনিময়ে ২৫ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করার গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষমতা আপনার নেই; দিনে ৩০ লিটার জলের বিল পাঠান। কতটা জল মেশান? ব্যক্তিগত লাক্সারি মেকাপ ভ্যানের পয়সাও ছাড়েন না; সমসাময়িক সহকর্মীদের কাঠি করেন চিরকাল, প্রযোজকদের মুরগি করার সব রাস্তা আপনার নখদর্পনে; আরো এতো কিছু আছে বলে শেষ করার যাবেনা... বাংলা ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হলে ডোম তো আপনিই...’ বলে রাখা ভালো, এই পোস্টে রাণা বুম্বাদাকে কটাক্ষ করে তাঁকে অবসর নেওয়ার কথাও বলেছিলেন।
এরপর যখন দেব-প্রসেনজিতের ‘কাছের মানুষ’ মুক্তি পায় পুজোয় তখন সেই ছবির আয় নিয়ে কটাক্ষ করে লিখেছিলেন, 'এক বছরের হিট বা সুপারহিটের ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে তথাকথিত সুপারস্টারদের বক্সঅফিসে আর বিক্রি নেই… দুই সুপারস্টারের টিভি রাইট তিন কোটি বা তার বেশি হওয়ার মানে হল বাড়িতে বিনা পয়সায় দর্শক এই সুপারস্টারদের দেখে। অন্ধভক্তরা ছাড়া এঁদের সিনেমা দেখতে দর্শক হলমুখী হন না, এর জন্যই বক্সঅফিসে তাঁদের ছবির ‘লাইফটাইম বিক্রি’ দুকোটি বা আড়াই কোটি সর্বোচ্চ হয়।'
তবে রাণার করা ‘দেব-বুম্বাদাই এখন টলিউডের ভরসা’ ফেসবুক পোস্টেও ধেয়ে এল কটাক্ষ। এক জিৎ-ভক্ত লিখেছেন, ‘এতদিন চেঙ্গিজের সরাসরি নিন্দে করছিলেন। এবার দেব-প্রসেনজিত, যাদের এতদিন গালাগালি দিতেন তাঁদের প্রশংসা করে জিতকে ছোট করার চেষ্টা করছেন।’ আরেকজন লিখলেন, ‘আমার মনে হয় আপনাকে জিৎ কোনো প্রজেক্টে নিয়েও নেয়নি বলেই, আপনার এত চুলকানি। তাই আগে যাদেরকে গাল দিতেন, সেই দেব আর বুম্বার পেছন চাটছেন এখন। Chengiz সুপার হিট হয়ে তো এখন আপনার পেছন জ্বালিয়েছে। তাই সময় থাকতে থাকতে জিতের পায়ে পড়ে যান।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘রানা যখন রং বদলায়… গিরগিটিও লজ্জা পায়..’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)