এসএসসি নিয়োগ দূর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বনির। কুন্তলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অভিনেতা, তাও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা নিয়ে বনি সেনগুপ্ত কিনেছেন দামি গাড়ি। আর তা নিয়েই টলিপাড়ার অন্দরে চলছে চর্চা, বনিকে নিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে নেটপাড়াতেও। এই পরিস্থিতিতে বনি সেনগুপ্তর পাশে দাঁড়ালেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁর কথায় 'বনি যা করেছে বেশ করেছে।'
শনিবার বনি সেনগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুক প্রযোজক রানা সরকার লেখেন, 'বনি সেনগুপ্ত যা করেছে বেশ করেছে…। একজন professional actor-এর কাছে কাজের অফার আসলে যা করা উচিত বনি ঠিক তাই করেছে। আপনারা জানেন না বনি সেনগুপ্ত একটা সিনেমা করতে কত রেমুনারেশন পায়, তাই চল্লিশ লক্ষ টাকার গাড়ি শুনে অবাক হচ্ছেন। এর মধ্যে যদি বেআইনি কিছু থাকে বনি নিশ্চয় আইনানুযায়ী নিজেকে সংশোধন করবে। কিন্তু যতক্ষণ সেটা প্রমান না হচ্ছে মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল চালিয়ে কোনো লাভ হবে না । তদন্তকারী সংস্থা আইন মেনেই তদন্ত করছে, দেশের আইনে ভরসা রাখুন... আর বনির সদ্য রিলিজ হওয়া সিনেমা 'আর্চি'র গ্যালারি' দেখতে হলে যান...বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান।'
এদিকে বনির পাশে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে তীব্র ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে রানা সরকারকেও। কেউ তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, ‘বনি কত টাকা পান? বনিকে তো এই চিনলাম’, কারোর কটাক্ষ 'চোরেদের পাশে দাঁড়ান'। কেউ আবার উপহাস করে লিখেছেন, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’। এমনই হাজারো মন্তব্য উঠে এসেছে।
এদিকে বনি সেনগুপ্তকে ইডি-র জেরার ঘটনায় এর আগে ফেসবুকে মুখ খুলেছেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। তিনি লেখেন, 'সাক্ষাৎকারে গম্ভীর / উদ্বিগ্ন মুখে বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ, পাশে দাঁড়ানো, সিঙ্গেল স্ক্রিনকে ফিরিয়ে আনার গুরু দায়িত্ব নিয়ে বাণী দেবেন, দর্শক শুনছেন। তাদের অভিনয় কেন ভালো লাগেনা সেই নিয়ে অভিমান করবেন, দর্শক শুনছেন। পরের পর একই গল্প নিয়ে ছবি করে যাচ্ছেন এবং মানতে চাইছেন না যে ছবিগুলো তারা বানাতে পারছেন না, তাই নিয়ে সাক্ষাৎকারে চোখ রাঙাচ্ছেন ,দর্শক শুনছেন। তার পর হঠাৎ একদিন বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ বর্তমানে ED’র দরবারে প্রবেশ পেলেন, এইবার দর্শক অবশেষে দেখছেন।
এদিকে সম্প্রতি বনি জানিয়েছেন, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি, শুধুমাত্র মুখের কথাতেই তিনি টাকা নিয়েছিলেন।