এর আগেও আরজি কর আবহে চুপ থাকা নিয়ে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে বিঁধেছিলেন রাণা সরকার। কদিন আগে অবস্য হইচই-এর ব্যোমকেশ দাবি করেন, তিনি অনেক ভেবেচিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বলেন, ‘আমি আমার কাজ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাউ ফুচকার মতো আন্দোলন আর আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফাউ ফুচকার মতো করে কবে সিরিজ আসছে, এই লুপটাতে আমি থাকতে চাই না।’
এবার এই বক্তব্যের রেশ ধরেই অনির্বাণকে ফের আক্রমণ করলেন প্রযোজক রাণা। যদিও একেবারেই নাম উচ্চারণ করেননি। তবে ‘খোকা’ মানে কার কথা যে বলছেন, বুঝতে সমস্যা হয় না! মঙ্গলবার রাণা সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘বক্তব্যের জন্য বিষ-খ্যাত একজন ফাউ ফুচকা ফ্লপ অভিনেতা আজ বলছে বক্তব্য দিয়ে নাকি কিছু হবে না। ওরে আমার নেকু পুষু সনটু সোনা… কাজ করতে হলেও তো মালিকের পকেট থেকে বেরোতে হবে? নাকি চিরকাল খোকা খোকা খেলবে?’
আরও পড়ুন: ২ বছরের জন্মদিন রণবীর-আলিয়ার রাহার! এই নামের একাধিক অর্থ, সবচেয়ে মিষ্টি বাংলায়
সঙ্গে রাণা নিজের পোস্টে আরও জোড়েন, ‘এই দেশেতে থাকবে তো ? নাকি এবার অন্য কোথাও যাবে বাবাধন?’
যাতে এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘উনি আবার সব রিলে হাত জোড় করে বলেন 'আমাদের কাজ দেখবেন'। খুব অমায়িক। আমরা শালপাতা হাতে ফাউ ফুচকা চাওয়ার সময়েও যা হতে পারি না।’ দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘উনি নেটিজেন নন, উনি সিটিজেন’।
আরও পড়ুন: কমছে ঝড়! ভুল ভুলাইয়া ৩ বুড়ো আঙুল দেখাল সিংঘম এগেইনকে, পঞ্চম দিনে কার আয় কত?
রাণা কার্যত গায়েবই হয়ে গিয়েছিলেন সব জয়গা থেকে। না প্রকাশ্যে এসেছিলেন, না ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন আরজি কর আবহে যখন কার্যত গত ২ মাস উত্তাল ছিল বাংলা। বরং, তাঁর স্ত্রী মধুরিমাকে দেখা গিয়েছিল রাস্তায়। তিনি অবশ্য স্বামী নিয়ে প্রশ্নে সেভাবে কথা বলেননি। স্পষ্ট করে দেন, তিনি নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কারণ সবার প্রতিবাদেৎ ভাষা আলাদা।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের পর ‘অপমান’ বাঙালির উলুকে! অভিযোগে বিদ্ধ নেহা কক্কর, অনু মালিক
অনির্বাণ কি যুক্তি দিয়েছেন আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদ না করার ক্ষেত্রে?
অভিনেতা স্পষ্ট করেছেন, তিনি এবার থেকে সিনেমা-সিরিজ করলে, শুধু সেটাই করবেন। আর রাজনীতিও করলে, শুধু সেটাই করবেন। সঙ্গে জানান, ‘যদি সত্যি কেউ চান অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতি আমাদের সমাজ থেকে নিমূল হোক তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। শুধু প্রতিবাদ করে সমাজ বদলানো সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় গরম-গরম বক্তৃতা দিলে মার্ক জুকারবার্গ লাভবান হবেন, গণমাধ্যম লাভবান হবে, সমাজের কিছু হবে না।