বাড়ির এটা ওটা ঘাঁটতে গিয়ে হঠাৎ খুঁজে পাওয়া পুরনো কোনো লেখা ডায়েরি, কিংবা অন্য কোনও স্মৃতি। আর ঠিক তখনই স্মৃতিমেদুর হয়ে ওঠে আমাদের মন। এমনটা অনেকের জীবনেই ঘটে থাকবে। ঠিক যেমনটা ঘটল কোন 'গোপনে মন ভেসেছে' 'অনিকেত' ওরফে অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর সঙ্গে।
কিন্তু কী এমন খুঁজে পেলেন রণজয়?
অভিনেতার মায়ের হাতে ডায়েরি। মায়ের স্মৃতিতে মাখা…। আর সেই ডায়েরির পাতা উল্টে সেখানে কী লেখা আছে, সেটা নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেতা।
বুধবার ফেসবুকের পাতায় একটা রিল শেয়ার করে রণজয় লেখেন, ‘ঘর গোছাতে গিয়ে অমূল্য সম্পদ উদ্ধার করেছি। মায়ের হাতে লেখা ১৯৯৬ সালের ডায়েরি এটা।’ ক্য়ামেরার সামনে ডায়েরিটা এনে, ‘দেখুন মায়ের কী সুন্দর হাতের লেখা’। ফের পাতা উল্টে বললেন, ‘দেখুন এখানে মা কীভাবে হিসেব রাখতেন।’ বলেই পড়তে শুরু করলেন…'কাকার দোকান-২০০টাকা, রতন-১০০ টাকা, বাসনওয়ালা-৫০ টাকা, হাবু (আমার মেজো মামা) ১০০টাকা, গোবু-১০০টাকা, ঠাকুর ঘরের চাঁদা-২০টাকা, দেবদাসপল্লী-২১ টাকা, পিকুকে ১০ টাকা, অর্চনা-১০টাকা ভানুর মাকে ৫টাকা, থার্মোমিটার-২৫ টাকা, পেটখারাপের ১টা ওষুধ ২২ টাকা। কতকিছু লেখা এর মধ্যে… (ডায়েরির পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে)' কেউ একজন পাশ থেকে বললেন, ‘এগুলো ফেলিস না কিন্তু…।’
ভিডিয়োটি দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন…
https://www.youtube.com/shorts/78EktOjEtY4
আরও পড়ুন-ইন্দ্রনীলের সঙ্গে ডিভোর্স মামলা চলছে, তখন করণবীরের চুমু দেওয়ার ছবি দিয়ে কী লিখলেন বরখা?
ফের একটা পাতা উল্টে পড়লেন, ‘ও আমার স্কুলের নোটিশ পড়েছিল ১৯৯৬ সালে। সেসময় যেমন নোটিশ হত আরকী! আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল ছাত্রছাত্রীকে অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত বেতন পরিশোধ করিতে হইবে। উক্ত বেতন পরিশোধ না থাকিলে পরীক্ষায় বসিতে দেওয়া হইবে না। পরীক্ষার ফিজ ২০টাকা।’ হাসতে হাসতে বললেন, আবার এখানে চোর-পুলিশ-ডাকাতও খেলা হয়েছে দেখছি…।’
এখানেই শেষ নয়, ঘর গোছাতে গোছাতে নাটকের স্ক্রিপ্টও খুঁজে পান রণজয়। সেটিও কিছুটা পড়ে শোনান। যা শুনলে আপনিও না হেসে পারবেন না। রণজয় পড়লেন, ‘দশরত বলছে রামকে, ১০টা বাজে দরজা খোল রাম, দরজা খোল…। রাম হাই তুলে বিড়বিড় করতে করতে বলে, কে? এত সকালে কে বিরক্ত করে কে? আসছি। দশরত বলল, বাড়ির কাজ তো কিছুই করিস না, ১০টা বাজল, খালি খাচ্ছোদাচ্ছো আর ঘুমাচ্ছো। রাম বলল, সকাল বেলা কী বলতে এসেছো বাবা, তাড়াতাড়ি বলো। দশরত বলল, বিশুদা এসেছে, (বিশুদা মানে বিশ্বামিত্র) নিচে বসে আছে। তোমাদের খুব প্রয়োজন। ওনার যজ্ঞে রাক্ষসরা এসে খুব ডিস্টার্ব করছে…। আমি কিছু বলিনি নেহাতই তোদের গুরু বল…। রাম বলল, এত হ্যাপা পোহানো কী সম্ভব! কাল রাতে ককটেল ছিল…।' এভাবেই পড়তে থাকলেন, আর পুরনো স্মৃতিতে ফিরে হাসতে থাকলেন রণজয়।