রণবীর-আলিয়ার বিয়ে নিয়ে যেন ঘোর কিছুতেই কাটছে না। নবদম্পতির হাঁড়ির খবর জানতে মুখিয়ে রয়েছে ভক্তরা। গত মাসেই চার পাক ঘুরে (সাত পাক নয়) চার হাত এক হয়েছেন রণবীর-আলিয়ার। বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত পরিবারের তরফে এই বিয়ে নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। বিয়ের কয়েকঘন্টা আগে বিরক্ত নীতু কাপুর বলেই দেন, ‘হ্যাঁ, কালই বিয়েটা হচ্ছে’। বিয়ের প্রায় একমাস পর ‘রালিয়া’র বিয়ে নিয়ে বড় তথ্য ফাঁস করলেন বরের মা।
২০২০ সালেই বিয়ের পরিকল্পনা ছিল রণবীর-আলিয়ার। এবার নীতু জানালেন, দুজনে দক্ষিণ আফ্রিকায় ডেস্টিনেশন বিয়ে সারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেষ বাড়ির বারান্দাতেই বিয়েটা সেরে ফেললেন। ফিল্ম কম্পানিয়ানকে নীতু বলেন, ‘ওরা বলেছিল আমরা কোনও সাকার্স চাই না। কাউকে বলতে চাই না, শুধু বিয়েটা করতে চাই। বিয়ে নিয়ে এতো চর্চা, মিম, জল্পনা, সত্যি বলছি বিষয়টা ওদের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল। তাই আমরা খুব সাদামাটাভাবেই সবকিছু করেছি। খুব বেশি হলে বলা হবে বাগদান হচ্ছে। আমরা বিয়ের জন্য কেনাকাটা পর্যন্ত করতে পারিনি। কিছু মানুষজন আমাদের জন্য জিনিসপত্র কিনে এনে দিয়েছেন। কারণ কিনতে গেলেই বিষয়টা জানাজানি হয়ে যাবে’।
নীতু জানান, তবে বাড়িতে আলো লাগানোর ছবি প্রকাশ্যে আসবার পর সবাই বুঝে গিয়েছিল ব্যাপারটা। অগত্যা, সত্যিটা জানাতেই হল। তবে সাদামাটাভাবে হলেও একমাত্র ছেলের বিয়েটা নীতুর কাছে ছিল স্বপ্নের মতোই। বিয়ের মূল অনুষ্ঠানে জনা চল্লিশ অতিথি উপস্থিত ছিল, বিয়ের পার্টিতেও ৪০-৫০ জন আমন্ত্রিত ছিল। ছেলে আর বউমার জন্য সারপ্রাইজ ডান্স পারফরম্যান্স প্ল্যান করেছিলেন নীতু কাপুর। তা দেখে চমকে যান বর-কনে।
মেহেন্দি হ্যায় রচনেওয়ালি, ঢোলিরা, কিউটি পাই-এর মতো গানে মেহেন্দির অনুষ্ঠানে নাচেন নীতু। নিজেকে আটকে রাখতে পারেননি রণবীরও। মায়ের সঙ্গে তাল মেলান ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ তারকা।
নীতু যোগ করেন, ‘রণবীর-আলিয়ার ইচ্ছা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়ে বিয়ে করবার। দু-বছর ধরে কথাবার্তা চলছিল, আমরা ওখানে যাব, রেকি করব। কিন্তু শেষমেষ কী হল? বাড়ির বারান্দাতেই বিয়েটা হল। দু- বছর ধরে আমরা শুধু লোকেশনের ছবি দেখে গেলাম। তবে আমি বলব এটাই সেরা ছিল, আলিয়াকে দুর্দান্ত লাগছিল’।