গত বছর নেটফ্লিক্সের ছবি ‘এক্সট্র্যাকশন’ দিয়ে হলিউডে ডেবিউ করেন রণদীপ হুডা। অভিনেতা যখন ‘ব্যাটেল অফ সারাগারি’-র জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন, ঠিক সেই সময়তেই অফার আসে ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর। ‘ব্যাটেল অফ সারাগারি’র জন্য এদিকে নিজের চুল ও দাড়ি বড় করে ফেলেছেন তিনি। গুরুদ্বারে গিয়ে কথা দিয়ে এসছেন ছবির কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত তিনি তা কাটবেন না।
রণদীপ জানান, যখন তিনি বুঝতে পারেন এই পিরিয়ড ড্রামার ভবিষ্যত অনিশ্চিত, তখন প্রথমেই তিনি গুরুদ্বারে যান এবং ক্ষমা চান। বহুবার বহু সাক্ষাৎকারে এই ছবি কেন তৈরি হওয়া দরকার ছিল, তা নিয়ে কথা বলেছিলেন রণদীপ। কিন্তু কখনই জানাননি কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ছবির কাজ।
‘এক্সট্র্যাকশন’ থেকে যে সাফল্য তিনি পেয়েছেন সে বিষয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপন করে রণদীপ জানান, ‘এত ভালো কাস্ট অ্যান্ড ক্রু-র সঙ্গে কাজ করা আমার সৌভাগ্য। আমি একটা অন্য কাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ৩ বছর ধরে কোন ছবিতে হাত দেইনি। নিজের চুল ও দাড়ি বাড়িয়েছিলাম। গোল্ডেন টেম্পেলে গিয়ে কথা দিয়ে এসেছিলাম তা কাটব না। ঠিক সেই সময়তেই আমার হাতে এই ছবির অফার আসে।’
রণদীপ জানান, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর অফার ফিরিয়ে দেবেন। তারপর সমস্ত দিক ভালো করে ভেবে বুঝতে পারেন ‘ব্যাটেল অফ সারাগারি’-র কোনও ভবিষ্যত আপাতত নেই। তারপরই গোল্ডেন টেম্পলে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে চুল-দাড়ি কেটে পৌঁছে যান ‘এক্সট্র্যাকশন’-এর সেটে। রণদীপ সে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি স্ক্রিপ্ট পড়ে বুঝতে পারিনি এটা এরকম একটা অ্যাকশন সিনেমা হবে। কাজ করতে গিয়ে আমি অভিভূত হয়ে পড়েছিলাম।’