একচুল নড়ার উপায় ছিল না, প্রস্রাব করেছিলেন বাটিতে, অদ্ভুত নিয়ম ছিল রণদীপের বিয়েতে

২০২৩ সালে মনিপুরের ঐতিহ্যবাহী মেইতেই বিবাহ অনুষ্ঠানের দীর্ঘদিনের প্রেমিক লিন লাইশরামের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা রণদীপ হুডা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে বিয়ের ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছিল তা আক্ষরিক অর্থেই সুন্দর ছিল। তবে আপনি হয়তো জানেন না, এই বিয়েতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়েছিল নব দম্পতিকে।

সম্প্রতি মিড ডের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে রণদীপ বিয়ের বিভিন্ন নিয়ম সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন। মণিপুরের বিভিন্ন রীতিনীতি এবং আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গে যে তিনি একেবারেই পরিচিত ছিলেন না, সে কথাও বলেন তিনি।

বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে রণদীপ বলেন, ‘আমরা যখন বিয়ে করি তখন আমার সঙ্গে একজন সহকারী ছিলেন যিনি অনেকটা আমার গৃহ শিক্ষকের মতো ছিলেন। বিয়ে করতে যাওয়ার আগে আমাকে একটি ছাতা এবং একটি বাটি দেওয়া হয়। ওদের নিয়ম অনুযায়ী, গোটা বিবাহ চলাকালীন একবারও আমি মাথা নিচু করতে পারিনি।’

অভিনেতা বলেন, ‘শুধু মাথা নিচু করা নয়, গোটা বিয়ে চলাকালীন আমাকে একটা জায়গাতেই বসে থাকতে হয়েছিল। ওদের নিয়ম অনুযায়ী তখন আমি অনেকটা ঈশ্বরের মত, সকলে আমাকে দেখতে আসবেন। আমাকে নিজের জায়গা ছেড়ে নড়লে চলবে না। এক মুহূর্তের জন্যও আমি বিশ্রাম নিতে পারিনি। ২ ঘন্টা ধরে আমাকে পিঠ সোজা করে মাথা উঁচু করে বসে থাকতে হয়েছিল।’

অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমি যখন আমার হাতে বাটি ধরিয়ে দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করি তখন তিনি বলেন, আমার যদি প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয় তাহলে ছাতাটি খুলে ওই বাটিতে আমি প্রস্রাব করতে পারি। কিন্তু কোনভাবেই নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারবো না কারণ সেদিন আমি সকলের চোখে ঈশ্বর।’

শুধু রণদীপের জন্য নয়, লিনের জন্য বেশ কিছু নিয়ম ছিল। বিয়ে চলাকালীন সে একবারও হাসতে পারেনি। প্রত্যেকটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন তাঁরা, আমরাও চেষ্টা করেছি সেই নিয়ম পালন করে বিয়ে করতে। লিন এত সোনা পরেছিলেন, ওই সোনায় একটা আস্ত সিনেমা তৈরি করে ফেলা যায়।

প্রসঙ্গত, নাসিরুদ্দিন শাহের থিয়েটার গ্রুপ মটলিতে কাজ করার সুবাদে একে অপরের সঙ্গে আলাপ হয় রণদীপ এবং লিনের। প্রথমে বন্ধু এবং ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব পরিণত হয়ে প্রেমে।