মুম্বইয়ে লালবাগচা রাজা দর্শনের জন্য প্রতিবছরই সাধারণের ভিড় উপচে পড়ে। তবে লালবাগচা রাজার দর্শন পাওয়া তো মুখের কথা নয়। টানা ১০ দিন ধরে চলা গণেশ চতুর্থী উৎসবের সময় প্রায় প্রতিদিন সেখানে ১.৫ মিলিয়ন ভক্তের সমাগম হয়। গণপতি বাপ্পার এক ঝলক দর্শন পেতে সেখানে সাধারণ মানুষকে লম্বা লাইনে অপেক্ষা করতে হয়। কখনও আবার সেই অপেক্ষা ১২ ঘণ্টা পর্যন্তও চলে।
তবে আবার সেখানে VIP দর্শনেরও সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এক্কেবারেই তাঁদের বিশেষ অপেক্ষা করার প্রশ্নই থাকে না। ভিআইপিরা আইকনিক মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, তাও আবার কোনও তাড়াহুড়ো ছাড়াই। সম্প্রতি এই ভক্তির ক্ষেত্রেও এই বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধনকুবের হর্ষ গোয়েঙ্কা। তবে ভক্তির যে সত্যিই কোনও বৈষম্য থাকা উচিত নয়, সেটাই এবার প্রমাণ করলেন অভিনেতা রণদীপ হুদা ও তাঁর স্ত্রী লিন লাইশরাম। VIP- লাইন নয়, আম জনতার সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে লালবাগচা রাজা-কে দর্শন করলেন রণদীপ ও তাঁর স্ত্রী।
ইতিমধ্যেই নেটপাড়ায় উঠে এসেছে লাইনে দাঁড়িয়ে রণদীপ ও লিন লাইশরামের। তারকা দম্পতির এই নম্র আচরণে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর এই লালবাগচা রাজা দর্শনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আম-জনতার ঠেলাঠেলির একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেন আরপিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান, ধনকুবের হর্ষ গোয়েঙ্কা। সেখানে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কখনও ভেবে দেখেছেন কেন অনেক লোকজন লালবাগচা রাজা-র জন্য ভিআইপি দর্শন বেছে নেন? এর কারণ সাধারণ ভক্তরা প্রায়শই দীর্ঘ অপেক্ষা এবং ভিড়ের মুখোমুখি হন। এটা অসম আচরণকেই তুলে ধরে। বিশ্বাস কি সবার জন্য সমান হওয়া উচিত নয়?’ অর্থাৎ কেন এই বৈষম্য, সেই প্রশ্নই তুলেছেন হর্ষ গোয়েঙ্কা। আর এবার রণবীর হুদা প্রমাণ করলেন সত্যিই ভক্তির কোনও বৈষম্যই হয় না।
প্রসঙ্গত, গত বছর (২০২৩) নভেম্বরে লিন লাইশরামকে বিয়ে করেন রণদীপ হুদা। এই জুটি ২৯ নভেম্বর ইম্ফলে গাঁটছড়া বাঁধেন, এরপর মুম্বাইতে একটা রিসেপশনও হয়। তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে বিয়ের ছবি ও ভিডিো সেসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ড করতে শুরু করেছিল।