বড় দাদা হয়ে জীবন সায়াহ্নে এসে ভাইকে হারিয়েছেন। সেই যন্ত্রণা প্রতি মুহূর্তে কুড়ে কুড়ে খায় রণধীর কাপুরকে। গত এপ্রিলেই প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা ঋষি কাপুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ই-টাইমসকে করিনা-করিশ্মার বাবা জানান, যখন তাঁরা দুই ভাই একত্রিত হতেন, সময় কাটানোর জন্য তাঁদের আর কাউকে দরকার পড়তো না। দুজনের পছন্দ অপছন্দও ছিল হুবহু এক। বর্ষীয়ান অভিনেতা যোগ করেন - 'সেই আমলে অ্যাকশনধর্মী চিরাচরিত বলিউডের সাম্রাজ্যে একাই সম্পূর্ণ আলাদা ঘরানার পতাকা বহন করে নিয়ে গিয়েছেন ঋষি।'
চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে দুই ভাইয়ের আড্ডা , পুরোনো দিনের কথা বড্ড মনে পরে রণধীরের। স্মৃতিরোমন্থন করতে গিয়ে অভিনেতা জানান তাঁরা কিভাবে প্রায়শই কোনও কারণ ছাড়াই একসাথে সময় কাটাতেন। মেতে উঠতেন হাসি,গান ও হুল্লোড়ে। হয় রণধীর ডেকে নিতেন ভাইকে,অথবা ঋষির আমন্ত্রণে তিনিই পৌঁছে যেতেন কাপুর মেনশনে- একটু প্রাণখোলা আড্ডায মেতে উঠতে, আজ সবই স্মৃতি। ভারাক্রান্ত স্বরে রণধীর কাপুর বলেন , ‘ আমরা আমাদের প্রাণবন্ত জীবনের যাত্রাপথে এতদিন একসাথে পা ফেলেছি,এবার একজন যাত্রা শেষ করে চলে গেল’।
কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন এই তারকা ভ্রাতৃদ্বয় ? রণধীর জানান,তাঁদের আলোচনার বিষয়ের কোনও ঠিক ঠিকানা থাকতো না। বলা যেতে পারে হয়তো কোনও বিষয়ই আমাদের আলোচনার বাইরে যেতো না।'কখনও এমন হয়েছে আমরা মহাকাশ নিয়েও আলোচনা করেছি। আসলে আমরা দুজনেই আমাদের একান্ত ব্যাক্তিগত পরিসরের পৃথিবীতে খুব সুখী ছিলাম', স্মৃতিমেদুর কন্ঠে বল উঠেন অভিনেতা।
অতিমারী আবহের মাঝেই গত ২৯ এপ্রিল দীর্ঘ দু-বছর ধরে লিউকিমিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের শেষে হার মানেন ঋষি কাপুর। ৬৭ বছর বয়সে চিরনিদ্রায় শায়িত হন অগ্নিপথ ছবির রউফ লালা। তবে নিজের শেষ ইচ্ছায় তিনি জানিয়ে গিয়েছিলেন- পরিবার,প্রিয়জন ও অনুরাগীরা তাঁকে চোখের জল ফেলে নয়, মনে রাখুক হাসি মুখে। শুধু এইটুকুই চাওয়া।