পর্দা আর বাস্তবের মিসেস চ্যাটার্জি মুখোমুখি। মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ের প্রচারে গিয়ে সাগরিকা চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা হয় রানি মুখোপাধ্যায়ের। তাঁকে দেখেই কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। সাগরিকা চক্রবর্তীর জীবনীর উপর ভিত্তি করেই বানানো হয়েছে এই ছবি। এক মা একটা গোটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে কী করে নিজের সন্তানদের ফিরে পান সেটাই যেন দেখানো হব এই ছবিতে। সিনেমাটি বানানো হয়েছে সাগরিকা চক্রবর্তীর জীবনীর উপর তাঁরই লেখা বই দ্য জার্নি অব এ মাদারের উপর ভিত্তি করে।
এই ছবির প্রচারে গিয়ে রানি মুখোপাধ্যায় সঞ্চালক করণ জোহরের কথা থেকে জানতে পারেন সেই অনুষ্ঠানে সাগরিকা চক্রবর্তীও উপস্থিত আছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ছবির প্রযোজক নিখিল আডবানিও। সাগরিকা যখন স্টেজে উঠছেন তখন তাঁকে দেখে কেঁদে ফেলেন রানি। রানিকে দেখা যায় তিনি তাঁর মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রেখে কাঁদছেন। রানি একটি সাদা রঙের শাড়ি পরেছিলেন এই প্রচার অনুষ্ঠানের জন্য।
রানি যখন কাঁদতে শুরু করেন তখন করণ তাঁর চোখের জল মুছিয়ে তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর যখন সাগরিকা স্টেজে উঠে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন তখন অভিনেত্রী হেসে ফেলেন তাঁকে দেখে। নেপথ্য সঙ্গীতে তখন শুভ শুভ গানটি বাজছিল।
এর আগে সাগরিকা জানিয়েছিলেন যে তিনি নাকি এই ছবির ট্রেলার দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। রানিকে সেই একই যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে দেখে নিজের পুরনো ঘাগুলো যেন তাঁর তাজা হয়ে উঠেছিল। তিনি বলেছিলেন, 'ভাষায় এটা প্রকাশ করা কঠিন। ট্রেলার দেখে মনে হয়েছিল, আমি যেন আবার আমার যুদ্ধটা লড়ছি। আমি বিশ্বাস করি সকলের এই গল্প জানা উচিত। এবং আজও কীভাবে ইমিগ্র্যান্ট মা বাবাকে অন্য দেশে ট্রিট করা হয় সেটা জানা প্রয়োজন সবার। আমি আজও আরিহা শাহের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছি যাঁর সন্তানকে এভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছ। আমি আপনাদের সবাইকে বলছি। দয়া করে আপনারা সবাই ওর পাশে থাকুন। আমার সাপোর্ট একজন মায়ের তরফে আরেকজনকে। আমি রানি মুখোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার লড়াইকে পর্দায় তুলে ধরার জন্য।'
এই মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে ছবিটি অসীমা ছিব্বার পরিচালনা করেছেন। এটি সাগরিকা চক্রবর্তীর জীবনে ঘটা সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে। ২০১১ সালে তাঁদের থেকে তাঁদের সন্তানদের কেড়ে নেওয়া হয়। কীভাবে তাঁরা তাঁদের সন্তান ফিরে পান সেটা এখানে দেখা যাবে। আগামী ১৭ মার্চ এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে। মুখ্য ভূমিকায় রানি ছাড়াও দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে।