মেয়ে আদিরাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হয় রানি মুখোপাধ্যায় এবং আদিত্য চোপড়ার। নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে এই তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে আনলেন রানি। এমনিতে নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে মিডিয়ার আড়ালেই রাখেন মর্দানি টু তারকা। পাশাপাশি তাঁর স্বামী আদিত্য চোপড়া তো একেবারেই মিডিয়ার সামনে আসেন না। নেহা ধুপিয়ার রেডিও শো 'নো ফিল্টার উইথ নেহা' অনুষ্ঠানে মন খুলে কথা বলতে শোনা গেল আদিত্য ঘরনিকে।
আদিত্য এবং তাঁর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝগড়া কি কারণে হয়, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রানি বলেন, 'যখন তুমি ছেলেমেয়ে মানুষ করো তখন সকলের একটা ভিন্ন মতামত থাকে। সেই নিয়েই সমস্যা বাঁধে। তবে পরে যে নিজের ভুল বুঝতে পার সে মেসেজ করে ক্ষমা চেয়ে নেয়'।
ব়্যাপিড ফায়ার রাউন্ডে রানি আরও জানান, 'আদিরা সহজেই মাকে নিজের মতো করে ব্যবহার করে নেয়'। পাশাপাশি রানি এদিন জানান ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ কেন দিন দিন আমাদের দেশে বেড়ে চলেছে? অভিনেত্রীর মতে ‘ছেলেদের বড়ো করা’ এর মধ্যেই আসল কারণ নিহিত। ছোট থেকে মায়েদের উচিত ছেলেদের মনে মেয়েদের প্রতি সম্মান তৈরি করা। নিজেদের মেয়েকে কেমনভাবে বড়ো করছেন রানি? 'আদিরাকে আমি সবসময় বলি তুমি সবচেয়ে সাহসী, তুমি সবচেয়ে শক্তিশালী, বাবার থেকে তুমি বেশি পেশিবহুল। আমি এখন থেকে ওর মাথায় এগুলো ঢুকিয়ে দিচ্ছি, যাতে কেউ কোনওদিন ওকে এটা বোঝাতে না পারে ও কারুর থেকে কম শক্তিশালী' ।
নিজের সময়জ্ঞানের জন্য সবসময়ই বাহবার পাত্রী হন রানি। তবে অভিনেত্রীর কথায় স্বামী আদিত্য চোপড়া এক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে। রানির কথায়, 'ও প্রত্যেকটা ট্রেলার দেখতে চায়, সেই কারণে ছবি শুরু হওয়ার ২০ মিনিট আগেই পৌঁছে যায়। ওর পছন্দ ছবি শুরুর আধ ঘন্টা আগে থিয়েটারে পৌঁছে যাওয়া। সেখানকার আলো বন্ধ হতে দেখতে ও ভালোবাসে'।
শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে রানির মর্দানি টু। ছবিতে পুলিশ অফিসার শিবানি শিবাজি রাওয়ের চরিত্রে দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। ধর্ষক, খুন-এক কথায় বর্তমান সমাজে ঘটে চলা নারী নির্যাতনের জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি উঠে এসেছে এই ছবিতে। মু্ক্তির প্রথম চারদিনে ২১ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে এই ছবি।