২০০৭-এর ‘লাগা চুনারি মে দাগ’ থেকে ২০১৯-এর 'মর্দানি', রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পরিচালক প্রদীপ সরকারের সম্পর্কটা বহুদিনের। দুজনেই বাঙালি, সেক্ষেত্রে সখ্যতাও বেশ ভালো। তাই শুক্রবার সকালে প্রদীপ সরকারের মৃত্যুর খবরটা একেবারেই আশাতীত ছিল না রানির কাছে। আকষ্মিক এমন খবরে রানি হতবাক। এটা তাঁর কাছে একটা আঘাত বললেও ভুল হয় না।
রানি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘দাদার মৃত্যুর খবরে মর্মাহত। কথাটা বিশ্বাসই হচ্ছে না। এই তো সেদিন কথা হল, আমি অমৃতসরে স্বর্ণ মন্দিরে যাওয়ার আগের দিনই কথা হল, দীর্ঘ সময় কথা হয়। উনি ফোন করেছিলেন আমার ছবি নিয়ে কথা বলতে। দাদা ফেসটাইম কল করার জন্য বারবার বলছিলেন কিন্তু সেদিন নেটওয়ার্ক ভাল ছিল না তাই আমি ওঁকে ভিডিও কল করে উঠতে পারিনি৷ এই সপ্তাহে ওঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। যখন আমি অমৃতসর থেকে ফিরলাম, তখন এখবর ভীষণই অপ্রত্যাশিত। দাদার স্ত্রী (পাঞ্চালি বৌদি) আমাকে আজ ভোর ৪টের সময় ফোন করেছিলেন, এটা সত্যিই দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক যে দাদা এভাবে চলে গেলেন।’
আরও পড়ুন-সময় পার হয়েছে, খাবার প্রতি ভালোবাসা একই থেকেছে বেবো ও লোলোর

প্রদীপ সরকারের সঙ্গে রানি মুখোপাধ্যায়
আরও পড়ুন-বিনোদিনীর Wrap Up পার্টি, হাজির দেব, রুক্মিণী, সুদীপ্তা, কমলেশ্বর সহ অন্যান্যরা
রানির কাছে প্রদীপ সরকারের মৃত্যু খানিকটা বজ্রাঘাতের মতোই। অভিনেত্রী বলেন, ‘বৌদি আমাকে জানিয়েছিলেন তিনি আপাতত ঠিক আছেন। গত কয়েকদিন আগেও শুটিং করছেন, তাই আমি বুঝতে পারছি না যে কয়েক ঘন্টার মধ্যে কীভাবে সবকিছু হয়ে গেল। আমি নিশ্চিত, দাদাকে যাঁরা জানেন তাঁরা সকলেই এই ক্ষতিটা গভীরভাবে অনুভব করবেন, যেভাবে আমি অনুভব করছি। ওঁর সঙ্গে আমার দারুণ একটা সম্পর্ক ছিল, আমরা বছরের পর বছর ধরে একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি, তাই এটি আক্ষরিক অর্থে পরিবারের একজন সদস্যকে হারানোর মতো। বৌদি, রণো এবং রায়াও আমার হৃদয়ের কাছের। ওঁদের কথা ভেবে কান্না পাচ্ছে। দাদার প্রোডাকশন হাউসে যাঁরা কাজ করেছেন বছরের পর বছর ধরে ওঁর সঙ্গে যাঁরা জড়িয়ে ছিলেন, তাঁদের সকলের জন্য এটা একটা বড় ক্ষতি।’
রানি আরও বলেন, 'আমি সত্যিই খুব কষ্ট পাচ্ছি, শীঘ্রই ওঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। বড় অদ্ভূত একটা অনুভূতি হচ্ছে। জীবন ভীষণই আপেক্ষিক, এই হয়ত একজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বললেন পরবর্তী সময়ই হয় শুনছেন তিনি নেই। আমি আমার শেষ স্মৃতি পর্যন্ত ওঁকে ধরে রাখব, উনি আমার জন্য ভীষণ খুশি ছিলেন, আমার ছবি দেখে শুধু সেটা বলার জন্য আমায় ফোন করেছিলেন।'