রণিতা দাসকে অনেকেই তবে নামের বদলে বাহামণি বা বাহা হিসেবেই চেনেন। ইষ্টি কুটুম ধারাবাহিকের বাহা হিসেবে দারুণ নজর কেড়েছিলেন তিনি। তবে বিগত কয়েক বছরে তিনি কাজের পরিমাণ ভীষণভাবে কমিয়েছেন। কিন্তু কেন? কী জানালেন তাঁর পেশাগত এথিক্স নিয়ে?
কী বললেন রণিতা?
আরজি কর কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিকবার। কেবল কর্মক্ষেত্র নয়, রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি, অন্যত্র... আসলে সর্বত্রই। 'কোথায় নিরাপদ মেয়েরা?' এই প্রশ্ন যেন বারবার ঘুরপাক খেয়েছে। আর এর মাঝে টলিউডের এক প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের নামে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় বাংলা বিনোদন জগতের কাস্টিং কাউচ নিয়ে গর্জে উঠেছেন একাধিক অভিনেত্রীরা। এবার এই বিষয়ে নিজের অভিমত জানালেন ছোট পর্দার বাহা ওরফে রণিতা দাস।
এই বিষয়ে রণিতা টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর মতে নিজেকে সংযত রাখতে পারলে, যে কোনও কুপ্রস্তাব থেকে দূরে রাখতে পারলেই হবে। অভিনেত্রীর কথায়, 'সবার আগে নিজেকে সঠিক পথে রাখা জরুরি। শুধু আমার কাজের জায়গায় নয়, এটা সব জায়গার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। রাস্তাঘাটে কোথাও কিছু ঘটলে সেটা দুর্ঘটনা। কিন্তু কাজের জায়গায় কেউ কোনও প্রলোভন বা কুপ্রস্তাব যদি দেয় তাতে সায় দেব কী দেব না সেটা একান্ত আমার উপর। সেই ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। সায় না দিলে হয়তো কিছু কাজ পাবে না। কাজ কমবে। আমি যেমন কোনও কিছুর বিনিময়ে আমার শিল্পী সত্তাকে বিক্রি করতে পারব না। আমি কাজ করব। আর সেটার বিনিময়ে পারিশ্রমিক নেব, ব্যাস। আর বাইরে আমার কাছে অন্য কোনও প্রস্তাব এলে আমি তাতে সায় দেব না যদি না আমি সেই ব্যক্তির প্রেমে থাকি। তাতে যদি আমার কাজ যায়, যাবে। এই সিদ্ধান্তটা নেওয়ার জন্য মনের জোর দরকার।'
রণিতা দাসের কথায় এদিন উঠে আসে রাত দখলের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, ' এটা কলিযুগ। এই যুগে নিজেদের চোখ কান নাক সবসময় খোলা রাখা খুবই জরুরি। এই যে রাত দখল হল সেখানে গেলেও নিজেদের সজাগ থাকতে হবে। আমি এত বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি এখনও পর্যন্ত অচেনা কারও গাড়িতে ফিরতেই পারব না। নির্ভর করি না কারও উপর। চেনা গাড়ি, চেনা ড্রাইভার থাকলে তবেই আমি পার্টিতে যাই।'
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে ৪০০ কোটি আয়ের পর এবার দেশেও ২৫০ কোটির গণ্ডি পার ভুল ভুলাইয়া ৩ -র! কী হাল সিংঘম এগেনের?
আরও পড়ুন: একই রিয়েলিটি শো থেকে জয়তী-শুভমিতা বিজয়ী হয়ে খ্যাতি পেলেও, কেন লাইমলাইট থেকে দূরে, জানালেন মানসী
রণিতার সাফ কথা, 'নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। আমায় যদি কাজের জায়গায় কেউ এসে গায়ে হাত দেয় আর সেটা যদি আমার খারাপ লাগে আমি সঙ্গে সঙ্গে সেই ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে যাব। আমি সেই কাজ শেষ করে ছয় মাস বাদে সেই বিষয়ে কথা বলব না। অভিযোগ জানাবো না। তাহলে তো আমিও ভুল করব সেই দিক থেকে। আমার তো এই ধরনের ব্যবহারটাতেই আপত্তি। খারাপ মানুষ সর্বত্র আছে, থাকবেও। সেটাকে সামলাতে জানতে হবে।'