২০০৯ সালে দক্ষিণী ছবিতে কাজ করতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হন শ্রীলেখা। আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। তারপরই কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রণজিৎ।
আরও পড়ুন: বাম রাজ্য কেরলেই যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলেন শ্রীলেখা! তোপ দাগলেন পরিচালকের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন: ১০ম দিনে ৩৫০ কোটির দোরগোড়ায় স্ত্রী ২, শনিবার বক্স অফিসে কত আয় করল বেদা-খেল খেল মে?
কী ঘটেছে?
সম্প্রতি মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের কাজের পরিস্থিতি এবং তার প্রতিকার হিসেবে যে হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তারপরই ২৩ অগস্ট এসিয়ানেট নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রীলেখা মিত্র জানিয়েছেন ২০০৯ সালে সেখানে একটি ছবির কাজ করতে গিয়ে যৌন হেনস্থার শিকার হন অভিনেত্রী। অভিযোগ দক্ষিণের জনপ্রিয় পরিচালক তথা কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির প্রাক্তন চেয়ারম্যান রণজিতের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ উঠতেই উল্লিখিত পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।
রণজিৎ এদিন কেরল চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিতেই এটাকে অনেকেই সেই মহিলাদের লড়াইয়ের বড় জয় বলে মনে করছেন যাঁরা এই ইন্ডাস্ট্রিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে লড়াই করে চলেছেন। হেমা কমিটিতে এমনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে মালায়লাম ইন্ডাস্ট্রিতে কীভাবে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করা হয়। তারপর আসে এই অভিযোগ।
কী জানিয়েছেন শ্রীলেখা?
অভিনেত্রী জানিয়েছেন উল্লিখিত ছবিটির শুটিংয়ের জন্য তিনি যখন কোচি পৌঁছন গিয়ে তখন তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে। কোচি পৌঁছিয়ে তিনি সকালে রণজিতের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর এবং মামুতির সঙ্গে কাজ করার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলেন। কিন্তু সেদিন বিকেলেই অভিনেত্রীকে যখন প্রযোজক এবং ছবির অন্য কলাকুশলীদের সঙ্গে দেখা করানোর জন্য হোটেলে ডাকা হয় তখনই প্রথমে তাঁর চুরি নিয়ে খেলতে শুরু করেন রণজিৎ। এরপর ঘাড়ে হাত দেন, চুল সরাতে যান। তখনই কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন শ্রীলেখা। এবং পরবর্তীতে জানিয়ে দেন এই ছবিতে কাজ করবেন না তিনি। এই ঘটনার পর ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলেও জানান শ্রীলেখা। নিজের হোটেল রুমে ফিরে এসে সারা রাত দরজা জানালা বন্ধ করে, দরজার পিছনে আসবাব পত্র রেখে ভোর হওয়ার অপেক্ষা করছিলেন। যাতে তিনি নিজের শহরে ফিরে আসতে পারেন।
কী জানিয়েছেন রণজিৎ?
যদিও রণজিৎ এদিন জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা সাজানো। তাঁর কথায়, 'শ্রীলেখার সঙ্গে আমি চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামকৃষ্ণের সামনে কথা বলেছিলাম। দুজন সহকারীও ছিল।' প্রসঙ্গত রণজিতের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পরও সেই রাজ্যের কালচারাল অ্যাফেয়ার্সের মন্ত্রী সাজি চেরিয়ান পরিচালকের হয়েই সাওয়াল করেছেন। জানিয়েছেন কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ ভারতের এমন গুণী শিল্পীর বিরুদ্ধে কোনও কেস ফাইল করা হবে না।