কাশ্মীরে ঝনক-এর শ্যুটিংয়ে গিয়েছেন রণজয়, গুড্ডি শেষ হতেই বড় সাফল্য নায়কের ঝুলিতে, এমন জল্পনার মাঝেই খারাপ খবর শোনালেন তারকা। ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে গুড্ডির অনুজ জানান, ভূ-স্বর্গে গিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে পড়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকে এত কাছ থেকে দেখে শিউরে উঠেছেন রণজয়। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানান কাশ্মীরের ছেলে আরফিকে, যিনি প্রাণ বাঁচিয়েছেন নায়কের।
রণজয় বলেন- ‘শ্যুটিং থেকে তিনদিন ছুটি পেয়ে চার বন্ধুর সঙ্গে ট্রেকে গিয়েছিলাম। দারুণ অভিজ্ঞতা। আরসান ভ্য়ালি ও ফাম্বার ভ্যালি ট্রেক করেছি আমরা। প্রথমদিন প্রায় ১২ কিমি, দ্বিতীয় দিন ৮ থেকে ৯ কিমি। ফেরার দিন প্রায় ১৫ কিমি ট্রেক করেছি। যেটা খুবই কষ্টকর ছিল। এটাই আমার প্রথম ট্রেক ছিল। আমি পাহাড়ে ঘুরেছি। কিন্তু মূলত সেটা গাড়িতে। আমরা সবাই খুব এক্সাইটেড ছিলাম এই ট্রেক নিয়ে। প্রথমদিনের অভিজ্ঞতাটা ভালই ছিল। আমরা একটা জায়গায় পৌঁছায়। টেন্ট খাটানো হয়। ছেলেদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা, মেয়েদের জন্য আলাদা তাঁবুর ব্যবস্থা। আমাদের গাইড যে ছিলেন তিনি বলেছিলেন, এই ট্রেকটা মোটেই নতুন ট্রেকারদের জন্য নয়। প্রথমদিনটা ভালই ছিল, তবে ফেরার দিনের অভিজ্ঞতাটা ভয়ানক ছিল। বেঁচে ফিরব কিনা সেটা ঠিক ছিল না’।
অভিনেতা জানান, শুরুর দিন দুর্দান্ত সময় কেটেছে তাঁদের। কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন তাঁরা। ফেরার পথে পাহাড়ি পথ ধরে ফেরবার সময়ই ঘটে বিপত্তি। রণজয় সেই ভয়াভহ অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলে, ‘ফেরার সময় সিনচন পয়েন্ট ছিল, যেখানে দু’দিকে লম্বা লম্বা পাহাড়। বরফ পড়ে রয়েছে। আমাদের সঙ্গে এক জঘন্য ট্রেকার হেড ছিল নাম ইউনিস। আমি এর ছবি পরে পোস্ট করব। সিনচন পয়েন্টে গিয়ে যখন পৌঁছায়। তখন প্রায় আড়াইটে বেজে গিয়েছে। পেটে কোনও খাবার নেই। জলও নেই। ওরা কোনও কিছুর ব্যবস্থা করেনি। কারণ ওরা এতো ইডিয়ট। তারপর ওই ইউনিস আমাদের খুব কঠিন ও ভয়ানক একটা শর্টকাট রাস্তা দেখাল। আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম, পাগল নাকি আমরা অভিনেতা, এনজয়ের জন্য ট্রেক করেছি। জীবন বাজি রাখার খেলা নয়। সরকার থেকে কোনওরকম পুরস্কারও চাই না। এরকম খতরো কা খিলাড়ি হওয়ার কি দরকার। পাহাড়ের রাস্তায় প্রায় ঝুলে ঝুলে যাচ্ছিলাম। নিচে গভীর খাদ। পুরো রাস্তাটা পাথরের। পাথরে পা স্লিপ করে যাচ্ছে। আমি ভেবেই নিয়েছিলাম আমার এখানেই জীবন শেষ। কখনও উঁচুতে উঠছি, কখনও নিচুতে’। ঘটনার ভয়াবহতার জেরে ব্ল্যাক আউটও হয়ে যান তাঁরা।
শেষমেষ তাঁদের উদ্ধার করে ট্রেকের এক সাহায্যকারী আরিফ। বয়সে ছোট আরফিরে পা ধরে প্রণাম পর্যন্ত করেছেন রণজয়। তিনি স্পষ্ট বলেন- ‘আরিফ আমার কাছে ভগবান, ওর জন্যই বেঁচে আছি’।
গত বৃহস্পতিবারই অফ-এয়ার হয়েছে গুড্ডি। সেই জায়গা দখল করেছে ‘রামপ্রসাদ’। খবর শুধু রণজয় নয়, গুড্ডি অর্থাৎ শ্যামোপ্তিকেও দেখা যাবে ঝনককে।