ইউটিউবার এবং পডকাস্টার রণবীর এলাহাবাদিয়া ইন্ডিয়াস গট ল্যাটেন্টে তাঁর মন্তব্যের জন্য বিগত কয়েকদিল ধরে পড়েছেন বেশ বিপাকে। এরই মাঝে তাঁর চর্চিত প্রেমিকা নিক্কি শর্মার ‘সব হারানো’ নিয়ে একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরি দেখে নেটপাড়ার ধারণা, বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে দুজনের।
রণবীর আল্লাবাদিয়ার প্রেমিকার পোস্ট
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিls নিক্কি শর্মা একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে লেখা হয়েছে, ‘এমন একটা সময় আসবে, যখন আপনি নিজের সব কিছু হারাবেন। এমনকী চিন্তা-ভাবনাও। সেই সময় আপনার পাশে থাকবে কেবলমাত্র আপনার আত্ম। আর তখন বুঝবেন আপনি অপরাজেয়।’ যদিও একাংশের মতে, রণবীরের সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পরই নিক্কির এই পোস্ট, আরেকাংশের মত, রণবীর এলাহাবাদিয়ার মনোবল বাড়ানোই তাঁর আসল উদ্দেশ্য।

এই প্রথম নয়, এর আগেও নিক্কি একটি রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন। নেতিবাচক শক্তিকে প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে একটি নোট শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে লেখা ছিল, ‘আপনার শরীর শুধু খাবারকেই প্রত্যাখ্যান করে না; এটি কোনোবিশেষ এনার্জিকেও প্রত্যাখ্যান করে। যদি আপনার শরীর নির্দিষ্ট জায়গা, লোক বা জিনিসগুলি প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করে তবে তা বিশ্বাস করুন এবং মেনে চলুন।’
সমালোচনার মুখে রণবীর এলাহাবাদিয়া
বিগত কয়েকবছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নাম কামিয়েছেন রণবীর এলাহাবাদিয়া। বিয়ার বাইসেপস নামে একটি চ্যানেল দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। নিজের পডকাস্টও চলাতেন তিনি।
তবে বিতর্ক শুরু হয়, যখন গত সপ্তাহে সময় রায়নার শোতে এক প্রতিযোগীকে জিজ্ঞাসা করে বসেন, ‘তুমি কি তোমার বাবা-মাকে প্রতিদিন যৌন মিলন করতে দেখবে নাকি তাদের সঙ্গে একবার যোগ দিয়ে তা চিরতরে শেষ করবে?’ আর এই প্রশ্নের সমালোচনা এখন দেশজুড়ে। বি প্রাক, ইমতিয়াজ আলি, মুকেশ খান্না, মিকা সিং-এর মতো তারাকারা এর সমালোচনা করেছেন। রণবীর এলাহাবাদিয়াকে আনফলো করে দিয়েছেন বিরাট কোহলি।
অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইসিডব্লিউএ) একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে এই শো-র বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং 'ক্ষতিকারক বিষয়বস্তুর' প্রচার রোধে শোটি 'অবিলম্বে নিষিদ্ধ' করার দাবি জানিয়েছে। রণবীর, সময় এবং এই পর্বের অতিথিদের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, যার মধ্যে কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশিস চঞ্চলানি এবং অপূর্ব মুখিজাও আছেন।
শনিবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ফের একবার ক্ষমা চেয়ে রণবীর এলাহাবাদিয়া লেখেন, ‘আমি এবং আমার দল পুলিশ এবং অন্যান্য সমস্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করছি। আমি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করব এবং সমস্ত এজেন্সির কাছে উপলব্ধ থাকব। বাবা-মা সম্পর্কে আমার মন্তব্য ছিল অসংবেদনশীল এবং অসম্মানজনক। এরপর থেকে আরও ভালো করে নিজের নৈতিক সব দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত থাকব। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
‘আমি লোকজনের কাছ থেকে মৃত্যু হুমকি পাচ্ছি, যে তারা আমাকে হত্যা করতে চায় এবং আমার পরিবারকে আঘাত করতে চায়। এরই মাঝে রোগী সেজে আমার মায়ের ক্লিনিকে হানা দিয়েছে লোকজন। আমি ভয় পাচ্ছি এবং কী করব বুঝতে পারছি না। কিন্তু আমি মোটেও পালিয়ে যাইনি। ভারতের পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।’, আরও যোগ করেন তিনি।