দীপিকাকে নিয়ে গর্বিত স্বামী রণবীর সিং। আন্তর্জাতিক সম্মান স্ত্রীর ঝুলিতে এসেছে, স্বভাবতই গর্বিত রণবীর। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ২০২০-র মঞ্চে ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত দীপিকা পাড়ুকোন। দীপিকার মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। নিজের বক্তব্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা কতটা জরুরি তা তুলে ধরেন 'ছপাক' তারকা।
ইন্সটাগ্রামে পুরস্কার হাতে নিজের ছবি পোস্ট করে দীপিকা লেখেন, কৃতজ্ঞতা। এবং নিজের সংগঠন লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশনকে ট্যাগ করেন। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির কাজ করে দীপিকার এই সংগঠন।
দীপিকার পোস্টের কমেন্ট বক্সে সবচেয়ে জ্বলজ্বল করছে যাঁর মন্তব্য তিনি রণবীর সিং। অভিনেতা লেখেন, দারুণ! বেবি,তুমি সবসময় আমাকে গর্বিত কর।
এদিন নীল গাউনে মিষ্টি দেখাচ্ছিল দীপিকাকে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মঞ্চে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজননীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন দীপিকা।
নিজের বক্তব্যকে দীপিকা জানান, মানসিক অবসাদের সঙ্গে আমার একটা ভালোবাসা এবং ঘৃণার সম্পর্ক আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। আমি সবাইকে বলতে চাই তুমি একা অবসাদে ভুগছো এমনটা নয়..আমার এই পুরস্কারটা নিতে যত সময় লাগল সেই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে আরও একটা মানুষ আত্মহত্যা করল..অবসাদ একটা খুব গম্ভীর কিন্তু সাধারণ অসুখ। এটা উপলদ্ধি করতে হবে আর পাঁচটা রোগের মতো উদ্বেগ এবং অবসাদও একটা রোগ এবং এই রোগের চিকিত্সা সম্ভব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাকে লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন তৈরির অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
সব শেষে নাগরিক অধিকাররক্ষা আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথারের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে দীপিকা বলেন, 'পৃথিবীতে যা কিছু হয় তা আশা নিয়েই করা হয়’।
প্রসঙ্গত বক্স অফিসে দীপিকার শেষ রিলিজ ছপাক। অভিনেত্রী-প্রযোজক দীপিকার এই ছবিতে ফুটে ওঠেছে অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগারওয়ালের জীবনযুদ্ধের বাস্তবচিত্র।