মানসিক স্বাস্থ্য, অবসাদের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বরাবরই সরব দীপিকা পাডু়কোন। নাশ্যানাল জিওগ্রাফির নতুন শো ‘মেগা আইকনস’-এর মঞ্চে অভিনেত্রী হিসাবে নিজের জার্নি, মানসিক অবসাদ নিয়ে লড়াইয়ের মতো কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং বিষয় সম্পর্কে মনখোলা আড্ডা দেবেন দীপিকা। শুধু দীপিকাই নয়, দীপিকার জীবনসঙ্গী রণবীর সিংও স্ত্রীর জীবনের ‘ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা’ নিয়ে কথা বললবেন। মেগা আইকনসের প্রথম টিজার সামনে এল বৃহস্পতিবার। যেখানে দীপভীরের পাশাপাশি দেখা মিলেছে দীপিকার ‘ককটেল’ পরিচালক ইমতিয়াজ আলির।
টিজারে দীপিকাকে বলতে শোনা গেল কীভাবে ২০১২ সালে ককটেল ছবিটি তাঁর জীবন সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি অনেকখানি পালটে দিয়েছিল। এবং নিঃসন্দেহে এটি ছিল তাঁর কেরিয়ারের বড়সড় ইউ টার্ন। দীপিকা বলেন, ‘আমার মনে হয় আমার একটু চুপচাপ হওয়াটা আমার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। নিজেকে জাহির করা, মন খুলে আত্মপ্রকাশ করবার সুযোগটা ক্যামেরার সামনে আমি পেয়েছি ককটেল ছবিতে। এটা এমন একটা ছবি যেখানে আমি ক্যামেরার সামনে প্রচন্ড রকম আহত,হতাশাগ্রস্ত হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছি। সেই আনন্দটা যখন আমি অনুভব করতে পারলাম, তারপর আর আমাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি’।
টিজারে দীপিকার এই জার্নি সম্পর্কে রণবীরকে বলতে শোনা গেল ‘ ও নিজের জীবনে একটা বড়সড় ইমোশ্যানাল চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। হয়ত সেটা ও নিজেও বুঝতে পারছিল না। তবে এই সমস্যাটাই পর্দায় ওর অভিনয় দক্ষতাকে আরও ক্ষুরাধার করেছিল। সেই যন্ত্রণার প্রতিফলন ওর পারফরম্যান্সে ঘটতে শুরু করে’।
ডিপ্রেশনের সঙ্গে দীপিকার লড়াই নিয়ে রণবীর বললেন- ‘এটা একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা’। রাম লীলা' তারকা যোগ করেন-' দীপিকা ব্ল্যাকআউট হয়ে গিয়েছিল এবং হঠাৎ করেই পড়ে গিয়েছিল এবং যখন তার হুঁশ ফিরে আসে, তখন জোরে জোরে চিত্কার শুরু করে ও'।
এই অনুষ্ঠানের টিজার শেয়ার করে ন্যাট জিও লিখেছে- 'ভালো এবং মহান অভিনেতার মধ্যে পার্থক্য করাটা খুব সহজ- শুধু দৃষ্টিভঙ্গির ফারাক। দীপিকা পাড়ুকোনের জীবনের একদম না জানা অধ্যায়, যা আগে কখনও বলা হয়নি।
আগামী ২০ শে সেপ্টেম্বর, রবিবার সন্ধ্যা সাতটায় দেখা যাবে দীপিকার এই অজানা কাহিনি।
মূলত রণবীর কাপুরের সঙ্গে ব্রেক-আপ পরবর্তী সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই চালিয়েছেন দীপিকা। এরপরই লিভ, লাভ, লাফ ফাউন্ডেশন শুরু করেন দীপিকা। ২০১৫ সাল থেকে এই সংগঠন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ করে আসছে।চলতি বছরের শুরুতেই সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তরফে সম্মান জানানো হয় দীপিকাকে। ক্রিস্টাল অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দীপিকা জানিয়েছিলেন, ‘…অবসাদ একটা খুব গম্ভীর কিন্তু সাধারণ অসুখ। এটা উপলদ্ধি করতে হবে আর পাঁচটা রোগের মতো উদ্বেগ এবং অবসাদও একটা রোগ এবং এই রোগের চিকিত্সা সম্ভব। আমার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আমাকে লিভ লাভ লাফ ফাউন্ডেশন তৈরির অনুপ্রেরণা দিয়েছে’।