দশমীতে বেশ বড়সড় বোমা ফেলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সংবাদমাধ্যমের বিজয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই ঠাকুর বরণ করার পর বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন। তাও আবার দুর্গা মায়ের সামনেই। তারপর থেকেই চর্চা চলছে বিস্তর। সকলের মনে প্রশ্ন, তবে কি বিয়ে হয়ে গেল শোভন-বৈশাখীর!
যদিও শোভনের শ্বশুর দুলাল দাস এটাকে ‘ব্যাভিচার’ বলে উল্লেখ করেছেন। আর এবার এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত দিলেন আইনত শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। এই সময় ডিজিটালকে রত্না বলেন, 'ওঁরা যা পারছে করছে। কিন্তু, ভুলে যাচ্ছে দেশে এখনও আইন আছে। শোভন আইনত এখনও আমার স্বামী। দুর্গা প্রতিমার পেছনে একটা বাঁশ থাকে। আমি সেই বাঁশ। ওঁরা বিয়ের কথা ভাবুক, তারপর আমি দেখছি, আইনত সব পদক্ষেপ নেব।'
এর আগেও রত্নাদেবী দাবি করেছিলেন তাঁর কথা দূরে থাক, ছেলে-মেয়ের খোঁজও নেন না শোভন। এবারেও সেরকমই দাবি করলেন। জানালেন, ‘পুজোর সময় ফোন করে শোভন একবারও ছেলে-মেয়ের খোঁজ পর্যন্ত নেননি। শুধু পুজো নয়, জন্মদিনে পর্যন্ত ওঁদের একটিবার শুভেচ্ছা জানায় না।’
নিজের সমস্ত সম্পত্তি আইন করে বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন শোভন। বারবার নিজের মুখেই জানিয়েছেন একসঙ্গে সংসার করছে তাঁরা। যদিও একটা অংশের মত, লিভ ইন করছেন এই তারকা জুটি। কারণ, দু'জনেই আলাদা আলাদা ভাবে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ। শোভন বা বৈশাখীর কেউই বেরিয়ে আসেননি এখনও নিজেদের পুরনো বিয়ে থেকে। তাই ভারতীয় আইন অনুসারে দ্বিতীয় বিয়ের প্রশ্নই উঠছে না।