২০০৩ এর ২৬ অক্টোবর। সেদিন দীপাবলির পাশাপাশি ছিল রবিনা ট্যান্ডনেরও জন্মদিন। জন্মদিন, দীপাবলি মিলিয়ে ঠিক ওই দিন যে 'সারপ্রাইজ' পেয়েছিলেন এই বলি-সুন্দরী, তা সম্ভবত এখনও তাঁর জীবনে পাওয়া সেরা ভালো লাগা হয়ে রয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় দীপাবলির আরতি সেরে ওঠার পরেই রবিনার বর্তমান স্বামী ওরফে তৎকালীন প্রেমিক অনিল থাডানি তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। হাঁটু গেড়ে রীতিমতো 'ওল্ড স্কুল' নিয়ম মেনে। সামনে তখন দাঁড়িয়ে রবিনা ও অনিলের গোটা পরিবার!
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাকারে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন স্বয়ং রবিনা। '২০০৩ সালে দীপাবলি আর আমার জন্মদিন একই তারিখে পড়েছিল। ২৬ অক্টোবর। ঐদিন চুপিচুপি ওঁর এবং আমার পরিবারের সঙ্গে গোপনে যোগসাজশ সেরে আমাকে এক দারুণ সারপ্রাইজ দিয়েছিল ও। পরে জেনেছিলাম সেদিনের আগেই আমার বাবা-মায়ের কাছে আমাকে বিয়ে করার ইচ্ছে জানিয়ে তাঁদের সম্মতি আদায় করে নিয়েছিল অনিল। এরপর সেদিন সবার সামনে যে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেবে সেই পরিকল্পনার কথাও আমার এবং ওঁর পরিবারকে জানিয়েছিল ও। সবাই সবকিছু জানলেও এই ঘটনার বিন্দুমাত্র আঁচ আমি টের পাইনি।
তাই দীপাবলির সন্ধ্যায় লক্ষ্মী পুজোর আরতি শেষ হওয়ামাত্রই দেখলাম অনিলের বাবা এবং মা হাজির হয়েছেন। দেখে অবাক হলেও অন্য কিছু তখনও ভাবিনি। এরপর হঠাৎ সবার সামনে অনিল এগিয়ে এসে এক হাঁটু গেড়ে বসে আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব জানায়। গোটা ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি ঘটেছিল যে আনন্দে অবাক হয়ে গেছিল। শেষমেশ ধাতস্থ হয়ে বিষয়টি বুঝে উঠতেই চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়েছিল আমার। আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলাম হাউহাউ করে। আমার জীবনে সেটিই সেরা জন্মদিন এবং দীপাবলি ছিল'।
২০০৪ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের উদয়পুরে দারুণ জমকালো বিয়ের আসর বসেছিল রবিনা-অনিলের। বর্তমানে এই জুটির দুই সন্তান। মেয়ে রাশা এবং ছেলে রণবীর। এছাড়াও পূজা এবং ছায়া নামে রবিনার দুই দত্তক কন্যাসন্তানও রয়েছে।